সম্পাদকের কলমে

নারায়ণ দেবনাথ- সত্যি বলতে কি একটা অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি হল। একটা বিশাল বড় অধ্যায়, যেখানে বাবা/ মা, ছেলে/ মেয়ে বা দাদু/দিদা, পিসি, ঠাম্মা সব এক হয়ে গেছিল । চলে গেলেন শরীরের দিক থেকে কিন্তু সারাজীবন রয়ে গেলেন মনে, চোখে আর স্বপ্নে। কার্টুন তাও আবার নিখাদ বাংলা ভাষায়, বাংলা চরিত্র নিয়ে, কিন্তু সেই চরিত্র আবার খুব সাহসী। উনি সাহস দেখিয়েছিলেন বলেই বাংলার ঘরে ঘরে বাঁটুল, হাঁদা-ভোঁদা পৌঁছে গেছে। নারায়ণ দেবনাথ -এর প্রতি #গল্পগুচ্ছ এর পক্ষ থেকে সশ্রদ্ধ প্রণাম । ভাল থাকবেন, যেখনেই থাকবেন। আমরা কিন্তু আপনার দেশেই রয়ে গেলাম । নমস্কার সহ অঙ্কুর রায় সংখ্যার সম্পাদক অভিজিৎ চক্রবর্ত্তী প্রধান সম্পাদক

লেখা পাঠানোর জন্য

আপনার লেখা পাঠান আমাদেরকে
golpoguccha2018@gmail.com

Total Pageviews

By Boca Nakstrya and Gologuccha . Powered by Blogger.

 ঐতিহ্য 

 অমিত দত্ত 

           সকালবেলা আমার পড়ার ঘরে বসে খবরের কাগজটা উল্টে পাল্টে দেখছিলাম । আজকাল খবরের কাগজ দেখলেই মনটা খারাপ হয়ে যায় । এমন সময়ে ছেলে এসে হামলে পড়ল।  " বাবা,  বাবা, স্কুল থেকে অ্যানিমেশন নিয়ে একটা প্রজেক্ট দিয়েছে। ইন্ডিয়ান অ্যানিমেশন নিয়ে আমায় একটু হেল্প করো না !"
          ছেলে নামী ইংরাজি মাধ্যম স্কুলে পড়ে। প্রায়শই প্রজেক্ট নিয়ে আমার শরণাপন্ন  হয়। আজকের বিষয় অ্যানিমেশন । বললাম- " সে তো তুই ইন্টারনেট থেকেই খোঁজ নিতে পারিস।" ছেলে আদুরে স্বরে বায়না করল-
       " না বাবা, স্কুল  থেকে বলেছে পুরানো পত্র পত্রিকার বেঙ্গলি কার্টুন ক্যারেকটারের ছবিও লাগবে। তোমার কাছে তো অনেক পত্রিকা আছে,  দাও না বাবা কয়েকটা ।"
       আমি তাক থেকে কয়েকটা পত্রিকা পাড়লাম । কয়েকটা সঙ্কলন,  আবার কয়েকটা শারদীয়া সংখ্যা । বললাম-
      " তুই বাঁটুল দি গ্রেট,  হাঁদাভোঁদা,  ননটে  ফোনটে,  রাপ্পা রাও এদের নাম শুনেছিস?" 
     " ওই একটু আধটু । কিন্তু বেশি কিছু জানি না ।"
     " নে তাহলে,  এগুলো পড়। বিকেলে খোঁজ নেব কেমন প্রজেক্ট করছিস?"

          বিকেলে হল না,  কিন্তু সন্ধ্যেবেলা যখন ছেলের ঘরে উঁকি মারলাম,  দেখলাম ও তন্ময় হয়ে বই আর পত্রিকা গুলো পড়ছে। আমি যে ঘরে ঢুকেছি,  খেয়ালই  নেই। ওর মনোসংযোগে ব্যাঘাত ঘটালাম-
        " কী রে, কেমন লাগছে?"
         উচ্ছ্বসিত  হয়ে ছেলে জবাব দিল-
        " দারুণ বাবা! এত কুল জিনিস আগে পড়িনি । তবে কয়েকটা শব্দের মানে বুঝতে পারছি না । "
        " ও আমি বুঝিয়ে দেব'খন। কিন্তু কী হল তোর? আজকে আর মোবাইলে গেম খেলছিস না!"
         " না বাবা । আজ শুধু এগুলোই পড়ব।"
        আমি স্মিত  হাসলাম । ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে বললাম-
      " কাল এর থেকেও দারুণ একটা বই পড়াব তোকে।"
       " কী বাবা?"
        " ঠাকুরমার ঝুলি ।"

1 comments:

AMIT DUTTA said...

অনেক ধন্যবাদ আমার লেখা নির্বাচিত করার জন্য । গল্পগুচ্ছ আরও এগিয়ে চলুক।