সম্পাদকের কলমে
লেখা পাঠানোর জন্য
Total Pageviews
শীতের পাঁচালি
অনুরাধা মুখার্জি
মাঘের শীতে নাকি বাঘ পালায়, কিন্তু মাঘ আসতে তো অনেক দেরি। সবে তো পৌষের আঙিনায় পা রেখেছি।
কিন্তু শীতে তো জবুথবু অবস্থা এখনই। পৌষ সংক্রান্তি তো এখনও অনেক দূরে, তবে তো মাঘের দেখা। আর এভাবে শীত তার শক্তি প্রদর্শন করলে বাঘ কেন আমার প্রাণপাখিও পিঞ্জর ত্যাগ করবে।কারণ আশির দোরগোড়ায় এলে রক্তের সব উত্তাপ শেষ হয়ে যায়। বৃদ্ধের রক্ত ভেক-শোণিতের মতোই হিমশীতল। অবশ্য কবিগুরু প্রচুর চেষ্টা করেছেন আমাদের বোঝাতে যে শীতবুড়ো আসলে নবীন বসন্তেরই ছদ্মরূপ, অল্প বয়সে এসব কথায় ভুলে থাকলেও এখন এই শীতার্ত বৃদ্ধ-ভবি এই সব রূপকে ভোলার পাত্র নয়।
তার পর প্রকৃতি দেখার নেশায় এমন বাসস্থান নির্বাচন করেছি যার পশ্চিমে ব্যালকনি ও উত্তরে ছাদ। রোদ পাওয়ার আশায় দাঁড়ালে পরে আমার মতো আশি কিলোর মানুষকেই প্রায় উড়িয়ে নিচ্ছে , সেখানে চল্লিশ কিলোর হলে কি হাল হতো ! এই একবার অন্তত নিজের বিপুল দেহ-ভারের জন্য কৃতজ্ঞ বোধ করলাম। সে যাক্ । এই প্রচণ্ড শীতে দিনের অধিকাংশ সময় যখন কাটছে কম্বলের তলায়, তখন সম্পাদক মহাশয়ের আদেশ ভেসে এলো দূরভাষে-- 'ছোটোবেলার শীতকাল নিয়ে কিছু লিখুন।' আরে জীবনের সাড়ে তিন কাল কাটিয়ে এসে ছোটোবেলার কোনো কথা কি আর মনে আছে ! তাছাড়া ছোটো বয়সে বোধহয় শীতবোধ ও অত প্রখর থাকে না। তাই ঠিক করলাম ছোটবেলা, বুড়ো বেলা এসব ভাগাভাগিতে না গিয়ে শীতকাল নিয়েই কিছু এলোমেলো লেখা যাক।
সাধারণ ভাবে কোলকাতায় শীত আসে বড়দিনের কেক নিয়ে আর পৌষ সংক্রান্তির পিঠেপার্বণ মানিয়ে গঙ্গাসাগরের পুণ্যার্জন করে ফিরে যায়। কিন্তু এবার উলটপুরাণ। এবার শীতের আগমন অপেক্ষাকৃত তাড়াতাড়ি হয়েছে। আমার ছোটো বয়সের হাড়কাঁপানো শীতের অভিজ্ঞতাও এই পৌষ সংক্রান্তির আশেপাশে। আর এই সময়টা মেঘবৃষ্টি কয়েক পশলা হতোই, দিন কয়েক ধরণী বঞ্চিত থাকত রবির পরশ থেকে ফলে সে এক মারাত্মক অবস্থা। শীতের কামড়ে সবসময় যখন মন চাইত লেপের তলায় আশ্রয় নিতে ,যখন পরিচ্ছন্নতা-অপরিচ্ছন্নতার, পাপ-পুণ্যের ভেদাভেদ সব লোপ পেয়ে যেত মন থেকে--পরম শত্রু হয়ে উঠত ঠাণ্ডা জল আর ঠিক তখনই আসত সংক্রান্তির পুণ্যস্নানের লগ্ন। আর কোনো ভাবেই সেই দিন স্নান না করে থাকা সম্ভব নয়,কারণ প্রতিঘরেই শিশুদের চিরশত্রু রূপিণী তাদের জননীরা বিরাজমান। তিনি বেচাল দেখলেই ফরমান জারি করতেন স্নান না করলে পিঠে খাওয়া বন্ধ। যদিও সারাটা শীতকাল জুড়েই ভালোমন্দ খাওয়ার মরশুম কিন্তু সংক্রান্তির পিঠে ও অন্যান্য খাবারের আকর্ষণ ই আলাদা।তাই সুবোধ বালকের মতো "হর হর গঙ্গে" ধ্বনি দিতে দিতে দুঘটি(হ্যাঁ,ঘটি । তখনো মগ চালু হয়নি) জল মাথায় ও চারঘটি জল মেঝেতে ঢেলে কোনো মতে কাকস্নান সেরে শীতে দাঁত ঠকঠক করতে করতে রোদের খোঁজে বাইরে এসে দাঁড়াতাম তখন চোখে পড়ত ধনৌতি নদী বা মোতিলেক (ডাকনাম মন) থেকে পুণ্য স্নান সেরে স্বল্পবাস পুণ্যার্থীরা চলেছে সার বেঁধে। বালকেরা হৈচৈ করতে করতে চলেছে মনের আনন্দে,বয়স্করা সমাজ- সংসারের নানা বিষয়ে মতামত বিনিময় করতে করতে আর বৃদ্ধরা চলেছে ঈশ্বরের নাম জপ করতে করতে কিন্তু সবাই চলেছে মনের আনন্দে। তখন অবাক হয়ে ভাবতাম কি সেই শক্তি যার প্রতি অচলা বিশ্বাসের জোরে উত্তর বিহারের শেষ প্রান্তে,নেপাল সীমানায় স্থিত এই শহরে এই নিদারুন শীতকে উপেক্ষা করে কৌলিক আচার মান্য করে চলেছে। আর শুধু তো নিজের শহরেই নয়, প্রতিবছর তারা সদলে চলেছে কুম্ভমেলা বা গঙ্গাসাগর।নিজেরাই তারা সচেতন যে "সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার"। সেই ছোট বয়স থেকে আজ পর্যন্ত এই কষ্টকর পুণ্যার্জনের পিছনে যে বিশ্বাস কাজ করে তার সন্ধান আমি পাইনি কিন্তু এদের এই বিশ্বাসের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা ছিল , আছে ও থাকবে আমরণ।
আমার ছোট বেলা যে অঞ্চলে কেটেছে সেখানে মকর সংক্রান্তির বা পৌষ সংক্রান্তির ডাকনাম তিলুয়া সংক্রান্তি অর্থাৎ তিল সংক্রান্তি। কতো রকমের তিলের মিষ্টি --তিলের নাড়ু, , তিলকূট,তিলৌড়ি,গজখ,অনরসা যে খাদ্যতালিকা আলোকিত করতো,কি বলবো ! বেশ কিছু সুস্বাদু তিলের মিষ্টির নাম এখন ভুলেই গিয়েছি।আসলে তিলে শরীর গরম রাখে তাই পৌষ মাঘ মাসে তিলের মিষ্টির এতো রমরমা। আমার উত্তর বিহারী বন্ধুদের বাড়ি এই সংক্রান্তির দিন তিলের নানান মিষ্টির অতিরিক্ত সকালের জলখাবার ছিল দই চিড়ে(ওই শীতে ঠ্যালা বুঝুন), দুপুরে খিচুড়ি,সঙ্গে নানারকম ভাজাভুজির সঙ্গে নানাবিধ শীতের সবজির আচার,যেমন ফুলকপি,সিম, নতুন আলু ইত্যাদির। এরমধ্যে নানাবিধ তিলের মিষ্টি ও আলুর আচারের জন্য এখনও মাঝেমাঝে মন কেমন করে।আর নৈশাহারের মেন্যু ছিল মটরশুঁটির কচুরি, কিংবা গোভি,মূলী বা পালক পরাঠা।
এই একটা উৎসব সারা ভারতের প্রায় সর্বত্র পালিত হয় কোনো না কোনো রূপে । বাঙালি, বিহারী,ওড়িশী, আদিবাসী, পাঞ্জাবী সবার বাড়িতেই পালিত হতে দেখেছি। দক্ষিণ ভারতেও এই উৎসব পালিত হয় ধূমধামের সঙ্গে।পোঙ্গল অতি বিখ্যাত উৎসব। ওড়িয়ারা এই দিনে সবাই নতুন জামা-কাপড় পরে,ঠিক আমাদের দুর্গোৎসবের মতো। সংক্রান্তির আগের রাতে ওড়িয়া বাড়িতে আমি মোটা রুটির মতো চালের গুঁড়োর ভাপা পিঠে পাঁঠার মাংস সহযোগে খেয়েছি।এই প্রথা উড়িষ্যা সংলগ্ন মেদিনীপুরের অধিবাসীদের মধ্যেও অনেকের বাড়িতে দেখেছি। আবার বাঁকুড়া, পুরুলিয়া অঞ্চলের অধিবাসীদের বাড়িতে দেখেছি নলেন গুড় সহযোগে সেদ্ধপুলি খাওয়ার চলন। চালের গুঁড়োর তৈরি এই পুলির মধ্যে মটর শুঁটি, ফুলকপির নোনতা পুর, আবার কোনো টায় নারকোলের মিষ্টি পুর। অভিজ্ঞ চোখ পুলির গড়ন দেখে নোনতা-মিষ্টির পার্থক্য বুঝে নিতে পারে, কিন্তু অনভিজ্ঞ আমি প্রায়ই ভুল করতাম।আদিবাসী বাড়িতেও চালের গুঁড়ো,তিল, নারকোল,গুড় বা চিনি সহযোগে অপূর্ব পিঠের স্বাদ গ্রহণ করেছি। প্রথম প্রথম চাইবাসাতে শীতের রাতে গুমগুম আওয়াজ শুনতাম অবাক হয়ে, খোঁজ খবর নিয়ে জানলাম ঘরে ঘরে চাল কোটা হচ্ছে আসন্ন পিঠা-পরব উপলক্ষে।
আর আমাদের নিজেদের পিঠে উৎসবের কথা আর কি লিখব!সারামাসব্যাপী চলত পিঠে-পায়েস খাওয়া। কতো রকমের যে পিঠে--যে গুলো মনে পড়ছে সেগুলোর নাম কৌলিন্য-অকৌলিন্য বিচার না করেই লিখছি।রসপুলি,দুধপুলি,চিড়ের পুলি,সুজির পুলি, ক্ষীর ভরা রাঙা আলুর পুলি,মুগের পুলি(নোনতা ও মিষ্টি), পাটিসাপটা, গোকুল পিঠে,ঘনদুধে পসানো আসকে বা চিতৈ পিঠে।ধোসার বঙ্গ সংষ্করণ সরু চাকলি, সঙ্গে নতুন ছোটো আলুর দম(নিরামিষ অর্থাৎ পিঁয়াজ-রসুন রহিত)।এর মধ্যে সহজ সাধ্য কিছুর চলন এখনও থাকলেও অধিকাংশ মা,ঠাকুমাদের সঙ্গে বিদায় নিয়েছে। এবার আসি পায়েসের ও হালুয়ার কথায়:-চালের পায়েস, সুজির,চিড়ের, কাউনের, লাউয়ের, নারকেল কোরার,আলুর, গাজরের, বাঁধা কপির পায়েস। পিঁয়াজের পায়েসের নাম ও শুনেছি তবে স্বাদগ্রহণের সৌভাগ্য হয়নি। গাজরের হালুয়া তো অতীব সুস্বাদু, কিন্তু পেঁপে,লাউ,কুমড়ো, আলুর হালুয়া ও খুব স্বাদিষ্ট হয়।নোনতা খাবারের জন্য ও এই শীতকাল অতি প্রশস্ত। কতো রকমের কচুরি,নানা ধরণের পরোটা, সিঙারা কোনটা ছেড়ে কোনটা বলি!
অধিকাংশ পিঠের মূল উপাদান চালের গুঁড়ো,তিল, নারকেল,গুড় ও দুধ। নোনতা খাবারের জন্য নানাবিধ শীতের সবজি।আসলে এইসময় ফসল ওঠে ঘরে ঘরে। নানান রকম শাকসবজি হয়। খেজুর ও আখের গুড় ওঠে। কৃষিপ্রধান দেশে প্রতি ঘরে এই ঋতুতে মা লক্ষ্মীর কৃপা বর্ষায়।সবার বাড়িতেই তাই উৎসবের আমেজ। গ্রাম ও মফস্বলের অধিকাংশ ঘরেই থাকত দুগ্ধবতী গাভী। এমনিতেও তখন দুধ ছিল সুলভ ও সুস্বাদু। তাছাড়া অধিকাংশ পরিবার একান্নবর্তী।লোকাভাব নেই, কেউ উদূখলে চাল গুঁড়ো করছে,কেউ নারকোল কোরাচ্ছে কেউ তিল পরিষ্কার করছে, কারো দায়িত্ব দুধ জ্বাল দেবার। আবার জনা কয়েক আড্ডা সহযোগে দ্রুত হাতে পুলি গড়ে চলেছে।
আজ কি একক পরিবারে এই জিনিস সম্ভব! তাই আমূল গোল্ড দুধের পায়েস ও দোকানের কেনা পাটিসাপটা দিয়ে নিয়মরক্ষা হচ্ছে। আর দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো আছে পিঠে উৎসব। পকেটের জোর থাকলে অবশ্য এসব জায়গায় নানা ধরণের পিঠে চাখা যায়। কিন্তু এখন তো দু'বছর ধরে করোনা দেবীর কৃপায় সে আনন্দ ও লাটে উঠেছে। এখনকার শিশুদের কথা ভাবলে কষ্ট হয়।আমরা সংক্রান্তির আগের দিন সন্ধ্যা থেকে মা, ঠাকুমাদের আশেপাশে ঘুরঘুর করতাম আর ছদ্মধমক শুনতাম--আজ নয়, আগে ঠাকুরকে নিবেদন করা হবে, তার পর তোমরা পাবে"। কিন্তু এসব সুভাষিতাবলি শুনে পিছিয়ে যাওয়ার পাত্র পাত্রী আমরা ছিলাম না। সবুরে মেওয়া ফলে। কিছু ক্ষণ পরে কেউ একটু মিষ্টি ঠিক হয়েছে কিনা দেখার জন্য প্লেটে কিছু কিছু এগিয়ে দিতেন।কারো হাত থেকে গড়তে গিয়ে কিভাবে জানি একটা পিঠে মাটিতে পড়ে যেত আর সেটা তো আর পাত্রে তুলে রাখা যায়না, তাই তীর্থের কাকের মতো প্রতীক্ষারত আমাদের মধ্যে কোনো ভাগ্যবান বা ভাগ্যবতী সেটা লাভ করতো আর বলাবাহুল্য যে কেউই বঞ্চিত হতাম না।
হারিয়ে গেছে সেসব দিন কোন বিস্মৃতির গর্ভে। কখনো সখনো 'ভুলে বিসরে গীতের 'এক আধ কলির মতো মনে পড়ে।আজ যেমন মনে পড়লো সম্পাদক মহাশয়ের অর্ডার মাফিক শীতচর্চা করতে গিয়ে। কিন্তু আমার লেখার অবস্থাটা এখন দাঁড়িয়েছে-ছিল রুমাল, হয়ে গেল বেড়াল।'ছিল শীতচর্চা,হয়ে গেল পিঠে- পাঁচালি।
তা আর কি করা যাবে,ভীমরতি ধরেছে অনেক দিন আগেই। পিছনে তাকিয়ে দেখলে প্রথমেই চোখে পড়ে কি কি হারিয়ে ফেলেছি সময়ের সঙ্গে।যেমন শীতের রোদে পিঠ দিয়ে বসে দল বেঁধে মহিলাদের রঙ-বেরঙের উল নিয়ে নানান ডিজাইনের নানা স্টাইলের সোয়েটার বোনা। এই শিল্পটা বোধ হয় আমাদের প্রজন্মের সঙ্গেই শেষ হয়ে গেল (পাহাড়ি এলাকা কি একাধজন হয়তো ব্যতিক্রম)। এখন কি কোথাও দেখতে পাই বড়ি দেওয়া।কতো তার নিয়ম-কানুন।তিথি-নক্ষত্র দেখে বুড়ো-বুড়ি বড়ির মাথায় ধানদূর্বা দিয়ে বড়ি-হাত করা।ঘরে ঘরে পাঁপড় (ডাল ও আলুর)বেলার কাজ এখন বোধহয় মারোয়াড়ি বাড়ি ছাড়া আর কোথাও হয় না।সাবুর পাঁপড় দেওয়ারই বা কতো সাজ-সজ্জা। শীতের ফুলের বাহার তখনো ছিল, এখনও আছে।তবে তখন রঙীন হয়ে থাকতো বাড়ির বাগানে, নিদেনপক্ষে উঠোন আর এখন অল্পস্বল্প রঙ উঁকি মারে ব্যালকনি টব থেকে।
আসলে হারায় না কিছু,বদলে যায় পছন্দ, প্রয়োজন, দৃষ্টিভঙ্গি ও মানসিকতা।পিঠে, পায়েস হারিয়ে গেছে ঠিকই কিন্তু এসেছে কেক,পেস্ট্রি,টার্ট, চকোলেটের সম্ভার।এই রূপান্তরের সঙ্গে আমরা বৃদ্ধরা মানিয়ে নিতে পারিনা তাই সদাসর্বদা মনে হারাই-হারাই ভাব।আগে খাবার পরে ভাইবোনেরা কমলা লেবু নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে তারিয়ে তারিয়ে খেতাম,মাঝে মাঝে পাশের জনের চোখে কমলার খোসা টিপে রস দিয়ে পালিয়ে যেতাম দূরে, শুরু হয়ে যেতো একচোট মারামারি, হুড়োহুড়ি।এখন মা রস করে এনে পরিবারের একেশ্বর বা একেশ্বরীর মুখের সামনে পেয়ালা ধরছে আর বিরসবদনে সেটি ঢকঢক করে খেয়ে নিয়ে ল্যাপটপ বা মোবাইলে মগ্ন হয়ে যাচ্ছে পড়াশোনায় বা প্রোজেক্ট তৈরির কাজে। ঠিক তেমনি উঠোন বা বাগানের রঙিন ফুলের বাহার এখন বদলে গিয়েছে ছাদ বাগানে।
এখন তাই মনকে সান্ত্বনা দিই -যা হারিয়ে যায় তা আগলে বসে রইবো কত আর। তাই ইতি টানছি গানের ভাষায় --যা গেছে তা যাক। যাক।
যা গেছে তা যাক্।
1 comments:
We all forget - and remember... but do we really know our memories... ? And question oblivion - ? And as the days tend to gradually pass from memory to oblivion we are growingly made aware of the only constant in the universe I.e. CHANGE ... and yet we can't help feeling strange ... and being strangers...
Commented by Shivshakar Banerjee
Post a Comment