সম্পাদকের কলমে

নারায়ণ দেবনাথ- সত্যি বলতে কি একটা অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি হল। একটা বিশাল বড় অধ্যায়, যেখানে বাবা/ মা, ছেলে/ মেয়ে বা দাদু/দিদা, পিসি, ঠাম্মা সব এক হয়ে গেছিল । চলে গেলেন শরীরের দিক থেকে কিন্তু সারাজীবন রয়ে গেলেন মনে, চোখে আর স্বপ্নে। কার্টুন তাও আবার নিখাদ বাংলা ভাষায়, বাংলা চরিত্র নিয়ে, কিন্তু সেই চরিত্র আবার খুব সাহসী। উনি সাহস দেখিয়েছিলেন বলেই বাংলার ঘরে ঘরে বাঁটুল, হাঁদা-ভোঁদা পৌঁছে গেছে। নারায়ণ দেবনাথ -এর প্রতি #গল্পগুচ্ছ এর পক্ষ থেকে সশ্রদ্ধ প্রণাম । ভাল থাকবেন, যেখনেই থাকবেন। আমরা কিন্তু আপনার দেশেই রয়ে গেলাম । নমস্কার সহ অঙ্কুর রায় সংখ্যার সম্পাদক অভিজিৎ চক্রবর্ত্তী প্রধান সম্পাদক

লেখা পাঠানোর জন্য

আপনার লেখা পাঠান আমাদেরকে
golpoguccha2018@gmail.com

Total Pageviews

By Boca Nakstrya and Gologuccha . Powered by Blogger.

 শিকড়ের টান 

 ত্রিপর্ণা রায় 



ব্যালকনিতে চেয়ারে হেলান দিয়ে শহরটার দিকে তাকায় নীলা। একটুও অন্ধকার নেই কোথাও। অন্ধকারের স্পর্শ পেতে আরামে চোখ বুজল। জোনাকির দল খোঁজ নিতে এসেছে, ব্যাঙও ডাকছে। অঝোরে বৃষ্টি এল, লম্ফের আলোয় পাশের মানুষটাকেও রহস্যময় লাগছে। মায়ের আঁচলে মুখ লুকালো নীলা। ওমা, বৃষ্টির পর চাঁদমামা বেরিয়ে পড়েছে। আলো-আঁধারিতে ভয়ার্ত চোখ তখন বাঁশঝাড়-কলাগাছের চন্দ্রস্নান দেখছে। ঠাম্মার ডাক তখনই, মাটির গোলা উনুনের পাশে রাখা গরমভাতের সুবাসে তখন ম ম করছে রান্নাঘর। গিন্নীমার ফোনে ঘুমটা ভেঙে গেল, ফেরার ডাক এসেছে। ভরানদীর বানে বাবা- মাকে হারিয়ে স্থান হয় হোমে। শিশির ভেজা ভোর, নির্জন দুপুরের পানকৌড়ির স্নান কিংবা কালবৈশাখী ঝড় পেরিয়ে নীলা এই শহরের ভিড়ে হারিয়ে গেছে। কিন্তু গ্রামের মানুষের সরলতা,তার প্রতি গিন্নীমার টান এগুলো এত বছরেও বদলায়নি। ভুল ছিল ওরই। এবার নিশ্চিত ফিরবে ওই মেঠোপথে শিকড়ের টানে।

0 comments: