সম্পাদকের কলমে
লেখা পাঠানোর জন্য
Total Pageviews
ভাঙা কাঁচ
তনুজা চক্রবর্তী
মানুষটা অমন করে হাত পা ছড়িয়ে মন্দিরের সামনে কেন যে বসে থাকে কেউ জানে না।
সবাই কেবল এটুকু বুঝতে পারে যে লোকটার আপন বলতে কেউ নেই । হয়তো একদিন
সবাই ছিল, আজ তারা কেবলমাত্র স্মৃতি। অথচ রোদ জল বৃষ্টি, এমনকী ওই আকাশটারও
কোনও পরিবর্তন হয়না কেবল মানুষ বদলে যায় ! হয়তো একদিন সে তার জীবনটাকে
বড়ো সাধ করে সাজিয়ে ছিল, সেই জীবনটাই আজ তার ভাঙা আয়নার মত মন্দিরের
চাতালের এক কোণে পড়ে থাকে। ভাঙা কাঁচে কেউ আর মুখ দেখেনা, কেবল এড়িয়ে যায়।
লোকটার পরনে ছেড়া লুঙ্গি,মাথায় ফেজ টুপি আর দাড়ি। তাকে সবার কাছে মানুষের
আগে মুসলমান বলে পরিচয় দেয়। মন্দিরের পবিত্রতা তার ছোঁয়ায় নষ্ট হয়, এ ধারণা
অনেকেই পোষণ করেন, বিশেষ করে দ্বিতীয় পূজারি খগেন চক্রবর্তী একটু বেশিই ভাবেন
এসব নিয়ে। কিন্তু তারপরেও হয়তো স্বজনহীন রক্ত মাংসের একজন মানুষকে ঘাড় ধাক্কা
দিয়ে বার করে দিতে পারেন না চক্ষু লজ্জার খাতিরে। তবে ঘাড় ধাক্কা না দিয়েও যেভাবে
তাকে দুচ্ছাই করেন দু-বেলা সেটা আরও অনেক বেশি যন্ত্রণার। সে যন্ত্রণা অনুভব
করার মত মানুষের সংখ্যা দিনদিন কমে যাচ্ছে, সেটা লক্ষ্য করেছে মন্দিরের প্রধান
পূজারির মেয়ে রূপসা।
খগেন চক্রবর্তীর নাকি মানুষটাকে দেখলেই তাঁর ফেলে আসা অতীতের কথা মনে পড়ে।
নিজের দেশ ছেড়ে উদ্বাস্তু হতে বাধ্য হয়েছিলেন তো ওই ওদেরই জন্য । নিজের বলতে
তো আর কিছুই নেই, মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও মন্দিরের। আজ থাকতে দিয়েছে বলে যে
কালও থাকতে দেবে তার কোনও নিশ্চয়তাও নেই। এমনটা তো হবার কথা ছিল না
তাঁর। বিঘে চারেক জমি ছিল, গোয়ালে গাই, গাছের নারিকেল, পুকুরের মাছ সব ছিল।
খাওয়া পরার কোনও অভাবই ছিল না তাদের । আর আজ মাসের শেষে তীর্থের কাকের
মত বসে থাকতে হয় মন্দির কতৃপক্ষ কখন মাসকাবারি টাকাটা দেবে। পুজোর ভালো
ভালো জিনিস পত্র সবেতেই আগে প্রধান পূজারির অধিকার। তারপর যা পড়ে থাকে
সেসবের মধ্যে থেকে মূলোটা কলাটা পছন্দ হলেও নিতে হবে , না হলেও নিতে হবে। সব
ওই ব্যাটাদের জন্য। ওকে কিছুতেই মন্দিরে থাকতে দেওয়া যাবে না, ওকে এখান থেকে
সরানোর রাস্তা একটা যেভাবেই হোক বার করতেই হবে তাঁকে।
রূপসা ভেবে পায় না মানুষেরা কীভাবে মানুষের সঙ্গে এমন খারাপ ব্যবহার করতে পারে!
এই ব্যাপারে সে তার বাবার আচরণও আর পাঁচজনের মত একইরকম হওয়ায় মনে মনে
খুব কষ্ট পায়,অথচ তাঁকে কিছু বলার সাহস নেই। তার বাবা ওই মন্দিরের প্রধান
পূজারি, তাই মন্দিরের গায়ে লাগোয়া তাদের ঘর । মন্দিরেরই জায়গা ,মন্দির থেকেই
তৈরি করা ঘর প্রধান পূজারিকে পরিবার নিয়ে থাকার জন্য দেওয়া হয়েছে। বাকি দুজন
পূজারি ও মন্দির দেখভাল করার জন্য যারা আছেন তাঁরাও মন্দিরের আশেপাশে মন্দিরের
সম্পত্তিতেই নিজেদের মত ঘর বেঁধে বাস করেন।
ও চাচা শুনছেন, ‘একটু উঠে বসুন আমি আপনার জন্য খিচুড়ি আর পায়েস এনেছি।‘
আধপাগল মানুষটা ধড়ফড় করে উঠে বসে। কোনো প্রশ্ন না করেই রূপসার হাত থেকে
শালপাতার থালা আর বাটিটা নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি করে খেতে শুরু করে দেয়, যেন
নিমেষের মধ্যে শেষ না করতে পারলে মুখের সামনে থেকে কেউ তার খাবর কেড়ে নেবে।
রূপসা তার খাওয়া দেখতে এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল যে খেয়ালই করেনি তাদের ওপর
কেউ লক্ষ্য রাখছে। হঠাৎই তার বাবার গলার আওয়াজে সম্বিত ফিরতেই সে দেখল তার
বাবা ঠিক তার পিছনেই দাঁড়িয়ে আছেন। সে কিছু বলতে যাওয়ার আগেই তিনি তাকে
বললেন ঘরে ঘিয়ে স্নান করে নাও। রূপসা একবার তার বাবার মুখের দিকে আর একবার
চাচার মুখের দিকে তাকিয়ে এক দৌড়ে সেখান থেকে চলে যায়।
ওই হারামজাদা বিধর্মী লোকটার ওপর বড়ো দরদ তোমার না ,আজই একটা হেস্তনেস্ত
করে ছাড়ব। হয় ও এখানে থাকবে নয়তো আমি । পরক্ষণেই তাঁর মন অন্য কথা বলে,
একজন বিধর্মীর জন্য আমি কেন মন্দির ছেড়ে যাব যেতে হলে ওই যাবে। প্রধান
পূজারির মেয়ে বলে যা খুশি তাই করবে নাকি? অনেকদিন ধরেই লক্ষ্য করছি, কিছুতেই
হাতেনাতে ধরতে পারছিলাম না। মন্দিরের সবাইকেই বারণ করা আছে ওকে যেন কিছু
খেতে না দেয়, তা সত্ত্বেও ও এখানে কী করে নিশ্চিন্তে পড়ে থাকে? সর্ষের মধ্যেই তাহলে
ভূত, দেখি আজ বড়ো ঠাকুরকে কে বাঁচায়---। কথাগুলো নিজের মনে আওড়াতে
আওড়াতেই খগেনঠাকুর ঢুকে গেলেন মন্দিরের মধ্যে।
তার বেশ কিছুদিন পরে হঠাৎই সকালবেলা রূপসার মা তাকে ইস্কুলে যেতে বারণ
করলেন। পাত্রপক্ষের বাড়ি থেকে নাকি বিয়ের পাকা কথা বলতে আসবে। রূপসা অবাক
হল না,এরকমই কিছু একটা যে ঘটতে পারে তা সে আন্দাজ করছিল বাবা আর মায়ের
নীচু স্বরে রোজ রাতের আলোচনা থেকে। সে যেন একটা সাংঘাতিক অপরাধ করে
ফেলেছে একজন আর্ত মানুষকে খাবার দিয়ে,আর সেই দোষেই তার এই শাস্তি হতে চলেছে।
বারো ক্লাসের পরীক্ষা আর দেওয়া হবে না তার। কী করবে সে ? তার এমন কোনও
আত্মীয় বা বন্ধু নেই যারা তার এই বিয়ে বন্ধ করতে পারে। তাদের বাড়ির কাজের
লোকের কাছে শুনেছে সেদিনের পর থেকে চাচা নাকি আর মন্দিরে থাকে না। মন্দির
থেকে বার করে দেওয়া হয়েছে তাকে। শোনার পর খুব কেঁদেছিল রূপসা। তার একটা
কাজের জন্য সে যা শাস্তি পেতে চলেছে তার থেকেও বেশি শাস্তি পেয়েছে সেই অসহায়
মানুষটা। তার এতদিনের আশ্রয় থেকে তাকে উৎখাত করা হয়েছে অন্যায়ভাবে। কে জানে
সে এখন কোথায় কীভাবে পড়ে আছে!
রফিক মন্দিরের চাতাল থেকে বাধ্য হয়ে উঠে এসে মন্দির থেকে একটু দূরে একটা
পরিত্যক্ত বাড়ির বারান্দায় আশ্রয় নিয়েছিল। বাড়িটাতে কেউ ছিল না,কিছু পায়রা আর
ঘুঘু নিশ্চিন্তে তাদের পরিবার নিয়ে বসবাস করত। আরও ছিল একটা বিশাল বড় দাঁড়া
সাপ, যেটা একদিন ঘুঘুর বাচ্চা খেতে গেলে রফিকের পুরনো দিনের কথাগুলো মনে পড়ে
যায়। তার অবর্তমানে যেভাবে তার ফুলের মত মেয়েটার ওপর অত্যাচার করে মেরে
ফেলেছিল নৃশংস দানবগুলো একটু একটু করে তার সব মনে পড়ে যায়। তাকে বাঁচাতে
গিয়ে তার দুই ছেলে আর স্ত্রীও রেহাই পায়নি। জলজ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল তাদের। সব
হারিয়ে পথে নেমেছিল সে, মাথাটাও আর বশে ছিলনা তার। সাপটা যেন সেই দানবের
প্রতিভূ, মর্মান্তিক পুরনো স্মৃতিগুলোর দরজা সে খুলে দিয়েছে আর নিস্তার নেই তার।
হাতের কাছে কোনও লাঠি খুঁজে না পেলেও অসমর্থ শরীরটা নিয়ে সে তার লেজটা ধরে
বনবন করে ঘুরিয়ে মাটির ওপর আছড়ে আছড়ে মেরেছিল সাপটাকে। বুকের কিছুটা ক্ষত
হয়তো তার জুড়িয়ে ছিল সেইদিন। সাপটাকে মারার পর আধ পাগলা মানুষটার হাসিতে
শিউরে উঠেছিল পথচলতি লোকজন। তারপর সেই আস্তানাও ত্যাগ করেছিল সে।
রূপসার বিয়ে হয়ে গেল, শত চেষ্টা করার পরেও সে তার বাবার জেদটাকেই মেনে নিতে
বাধ্য হল। তারপরেও হেরে যাওয়ার পাত্রী সে নয়। ফুলসজ্জার রাতেই তারসঙ্গে যা যা
ঘটেছিল সে সব কথা সে তার স্বামীকে বলল। মানুষটা ভালো, তিনি রূপসার কাজটাকেই
সমর্থন করলেন। তিনি রূপসার পড়া চালিয়ে যেতে কোনোদিন কোনও আপত্তি করবেননা
সেটাও বলে দিলেন। কিন্তু রূপসাই চাইলনা আর ইস্কুলে যেতে। কী হবে পড়াশোনা করে?
তার দাদাও তো একটার পর একটা পাস করে নামের পিছনে একগাদা ডিগ্রী নিয়েও
বাবাকেই সমর্থন করল, দাঁড়ালনা তার পাশে ! তবে পড়াশোনাটা সে একেবারে ছেড়ে দিল
না। সংসারের কাজের সঙ্গে নিয়ম করে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নানান ধরণের বই সে
পড়তে শুরু করে দিল। বেশি বেশি করে বই পড়ার জন্য শ্বশুরবাড়ির কাছাকাছি একটা
লাইব্রেরির মেম্বার হয়ে গেল সে।
বাপের বাড়ি বেশি যেত না। বাবার ওপর রাগ করে তাঁর সঙ্গে কথা বলাও বন্ধ করে
দিয়েছিল। সকালে আসলে বিকেলে ফিরে যেত, সেই সময়টুকুতে যাতে বাবার মুখোমুখি
হতে না হয় তারজন্য দুপুরে বাবা বাড়িতে খেতে আসার আগেই সে বেরিয়ে পড়ত
আশেপাশের বাড়িতে আড্ডা দিতে, কে কেমন আছে তার খোঁজ খবর নিতে। আবার
বিকেলে যখন তার বাবা মন্দিরে চলে যেতেন তখন ঘরে ফিরে মায়ের সঙ্গে এটাওটা
কথাবার্তা সারার পর ফিরে যেত নিজের ঘরে। বাবার ঘরটা কোনোদিন তার আপন
হয়নি, কিন্তু বছর খানেকের মধ্যেই শ্বশুরবাড়িটাকে নিজের বাড়ি ভাবতে তার কোনও
অসুবিধাই হয়নি !
একমাত্র মেয়ে তার বাপের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখতে চায়না, অথচ সে ব্যাপারে তার
বাপের কোনও হেলদোল নেই,যেন জন্ম দিয়ে ধন্য করেছিলেন আর বিয়ে দিয়ে কৃতার্থ
করেছেন,মেয়ের প্রতি সব কর্তব্য করা তাঁর শেষ। এমন একটা ভাব তিনি নিজের মনেই
পোষণ করতেন। তার মা প্রথম প্রথম দুজকেই বোঝানোর চেষ্টা বৃথা জেনেও বাপ বেটিকে
মেলেনোর চেষ্টা করেছিলেন, শেষে হাল ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি নিজেই অপরাধী, যে
একজন মেয়ে হয়েও তার মেয়ের পাশে দাঁড়াতে পারেননি। মেয়েটা তো সত্যিই কোনও
ভুল করেনি, তাঁর নিজেরও তো মন্দিরে গেলেই ওই মানুষটাকে দেখলে কষ্ট হত। ঘরে
গাদা গাদা শতরঞ্চি,তোষক, কম্বল থাকা সত্বেও একটা করে তার হাতে তুলে দিতে
পারেননি কেবল লোকটা তাঁদের ধর্মের নয় বলে। একটা মানুষ আর একজন মানুষকে
দেখতে পায়না, দেখে তার ধর্মকে! সে যা পারেনি মেয়েটা তা করেছে, আর সেজন্যই সে
আজ তার নিজের বাপের কাছে পর। মানুষটার কোনোরকম তাপোত্তাপ নেই মেয়েটার
জন্য। একদিনও জানতে চাননি মেয়েটা কেমন আছে, তাকে কী খেতে দিলে !
খগেন ঠাকুর অসুস্থ, দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে তাঁর। এখন আর পুজো করতেও পারেন
না। প্রথম প্রথম সরকারি হাসপাতালে যেতেন চিকিৎসার জন্য, এখন আর সেখানে
চিকিৎসা করে কোনও লাভ নেই। একমাত্র কিডনি প্রতিস্থাপন করলেই তিনি বেঁচে যাবেন,
কিন্তু তার অনেক খরচ। মন্দির কতৃপক্ষ হাত তুলে নিয়েছেন, তাঁরা বলে দিয়েছেন এ
রোগের চিকিৎসার অনেক খরচ তাঁরা বইতে পারবেন না। আর বিনা পয়সায় তাঁকে
কিডনিই বা কে দেবেন? তাঁর স্ত্রীর কান্না দেখলে বুক ভেঙে যায় রূপসার, অথচ তার
কোনও উপায় নেই। সে কিডনি দিতে রাজি হবার পরেও তার শরীরের সঙ্গে খগেন
কাকার শরীরের কোনো কিছুই ম্যাচ না করায় হাল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে সে।
মন্দিরে যতজন মানুষ কাজ করতেন তারমধ্যে সবচেয়ে খারাপ মনের মানুষ ছিলেন এই
খগেন ঠাকুর। অথচ তার মা বলা সত্ত্বেও রূপসা মানতে রাজি নয় এ তাঁর পাপের ফল।
তাহলে এতদিন মন দিয়ে যে তিনি ঈশ্বরের সেবা করলেন, সেসব পুণ্য তাঁর কোথায়
গেল? পাথরের গোপাল যদি এতই নিষ্ঠুর হন, দরকারে নিজের সেবায়েত দের পাশে
দাঁড়াতে না’ই পারেন তাহলে সকালবিকেল এত যত্ন করে তাঁর পুজো করার কী দরকার?
এইসব নানান কথা ভাবতে ভাবতে রূপসা যখন খগেন কাকাকে দেখে বাড়ি ফিরছিল,
তখন পথে হঠাৎই তার রাস্তা আটকে দাঁড়াল একজন মানুষ। রূপসা অবাক হওয়ার পরেও
তাঁর মুখের দিকে একবার তাকিয়েই চাচা বলে ডেকে উঠল।
রফিকের সেদিনের সেই চিৎকার একজন সহৃদয় মানুষের কান অবধি পৌঁছে ছিল। তিনি
একজন ডাক্তার। গাড়ি দাঁড় করিয়ে সেদিন তিনি তাঁকে পথ থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন।
একটা রিহাবে ভর্তিও করে দিয়েছিলেন। নিয়মিত খোঁজখবরও রাখতেন তাঁর। রফিক সুস্থ
হয়ে ওঠে, তারপর সে একটা বাড়ির কেয়ার্টেকারের কাজও জুটিয়ে নেয়। সবকিছু জানার
পর রূপসার আনন্দ আর ধরে না। তাঁর এতদিনের অপরাধ বোধ থেকে মুক্তি পাওয়ার
আনন্দে সে যেন মনে মনে উড়তে থাকে। তার আনন্দ রফিকের চোখেও ধরা পড়ে,
মেয়েটাকে দেখে তার নিজের মেয়ের কথা মনে পড়ে যায়। তারপর দুজনে মিলে একটা
গাছতলায় বসে অনেক কথা বলে। রফিক মন্দিরের সবাই কেমন আছেন জানতে চায়।
এটাসেটা খবর দেবার পর খগেন কাকার কথা না বলতে চেয়েও সে বলে ফেলে তাকে।
রফিক শুনেই বলে সে কিডনি দেবে তাঁকে, কিন্তু কেউ জানবেনা । রূপসা কথাটা শুনে
অবাক হয়ে যায়, সে যেন প্রকৃত ঈশ্বরকে তার চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছে।
কেউ কিছুই জানল না, কেবল ভাঙা আয়নাটা এক অদৃশ্য টানে আবার জোড়া লেগে
গেল। খগেন চক্রবর্তী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এলেন, রফিক চাচা ফিরে গেল তাঁর কাজের
জায়গায় । কেবল রূপসা জানল একজন মানুষের থেকে মানুষকে আলাদা করার ক্ষমতা
কোনও ধর্মের পক্ষেই সম্ভব নয়।
8 comments:
বাহ্। খুব সুন্দর লেখা। সম্প্রীতি একেই বলে।
অসাধারণ গল্প । ভীষণ ভীষণ সুন্দর লিখেছেন দিদি ।যেমন সুন্দর ভাবনা , তেমনই সুন্দর প্রকাশভঙ্গি ।
এই পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে আমি গর্ব অনুভব করছি যে এমন একটা গল্প এখানে প্রকাশিত হয়েছে। অভিনন্দন জানাই দিদি।
ধন্যবাদ ভাই। পত্রিকা এগিয়ে যাক তার নিজের পথে।
সম্প্রীতির সুন্দর গল্প। ভালো।
ভালো লাগলো
তনুজা, সত্যিই ভাল হয়েছে লেখাটি । পরে সুবিধামতো আর একটু ডিটেইলসে ( গল্প-পরিসরেই)ফাঁকগুলি ভরে নিলে অসাধারণ হয়ে উঠবে । আরও গল্প লেখ ।
খুব সুন্দর গল্প। এমন বিষয় নিয়ে আরও লিখুন।
খুব সুন্দর
Post a Comment