সম্পাদকের কলমে
লেখা পাঠানোর জন্য
Total Pageviews
অঙ্কনঃসৌমী চ্যাটার্জি রায় |
পুজোর ছুটি মামাবাড়ি
অঙ্কুর রায়
সে ছিল এক দিন যখন বাজলে পুজোর ঘণ্টা ,
নতুন দেশে যাবার জন্যে হত না আকুল মনটা ।
পড়লে ছুটি যেত সবাই মায়ের বাপের বাড়ি ,
দাদু,দিদা,মামা,মামির আদর বাড়াবাড়ি ।
পড়া ছুটি,শাসন ছুটি,সব নিয়মের ছুটি ,
খেলা,ঘোরা,গল্প,খাওয়া, হাসি লুটোপুটি ।
পড়লে ছুটি মায়ের সাথে মামাবাড়ি যাওয়া ,
সারা বছর মনে মনে এই ছুটিটাই চাওয়া ।
মামা ছোটেন বাজার থেকে আনতে মাছের মুড়ো ,
মামি রাঁধেন সোনা মুগ ডাল,আলুভাজা ঝুরো ।
দিদা বসে রাঁধেন পায়েস,পাকান নাড়ু,মোয়া ,
দাদু বসে গল্প করেন - ভালোবাসার ছোঁয়া ।
দাদা,দিদির সাথে সারাদিন খেলা আর হৈচৈ ,
ভূভারতে এমন মজা পাবে তুমি আর কই ?
ধুনোর গন্ধ,মন্ত্র, শঙ্খ,ঘণ্টা,ঢাক আর কাঁসর,
পুজোর ছুটির মামাবাড়ির হাসিখুশির আসর ।
ওরা ভাইবোন মায়ের সাথে প্রতিবছরই আসে ,
বর্ষা শেষে আকাশ নীল, নদীচর ঢাকে কাশে ।
হাঁটতে হাঁটতে পেরিয়ে পাহাড় পৌঁছে যায় শেষে,
শালুক-ফোটা-দিঘি-ঘেরা শ্যামল বঙ্গদেশে ।
এখন সব পাহাড়ে যায়, কেউ সাগর বা অরণ্য,
মামাবাড়ির পুজোর ছুটি সে ছিল অনন্য ।
বছর বছর ওরা কিন্তু আসে মামাবাড়ি,
কৈলাস ছেড়ে মায়ের সাথে বহুদূর দেয় পাড়ি ।
ছোট্ট গণেশ মায়ের সাথে, সরস্বতী, লক্ষী,
কার্তিক দেখে অবাক চোখে ফুল, ফড়িং বা পক্ষী।
"আর কিছু পথ হাঁটলে পরেই মামাবাড়ির পাড়া,
ও কার্তিক দাঁড়ালি কেন ?" উমা দিচ্ছেন তাড়া ।
ঢ্যামকুড়াকুড় কাঁইনানা,ঢ্যামকুড়াকুড় কাঁইনানা,
ঢাক বাজছে সাথে কাঁসর,আজ আনন্দ, নেই মানা ।।
4 comments:
এমন সুন্দর পড়লে সত্যি মন ভরে যায়। মনে পড়ে যায় ছোটবেলার কত কথা। পুজো এখনও আছে, আছে আনন্দ। তবু বদলে গেছে কত কিছু।
এক কথায় " সুন্দর " ।
সত্যি দাদা অনেক কিছু বদলে গেছে। তবু পুজো একইরকম আছে।
অশেষ ধন্যবাদ দাদা।
Post a Comment