সম্পাদকের কলমে
নারায়ণ দেবনাথ-
সত্যি বলতে কি একটা অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি হল। একটা বিশাল বড় অধ্যায়, যেখানে বাবা/ মা, ছেলে/ মেয়ে বা দাদু/দিদা, পিসি, ঠাম্মা সব এক হয়ে গেছিল । চলে গেলেন শরীরের দিক থেকে কিন্তু সারাজীবন রয়ে গেলেন মনে, চোখে আর স্বপ্নে। কার্টুন তাও আবার নিখাদ বাংলা ভাষায়, বাংলা চরিত্র নিয়ে, কিন্তু সেই চরিত্র আবার খুব সাহসী। উনি সাহস দেখিয়েছিলেন বলেই বাংলার ঘরে ঘরে বাঁটুল, হাঁদা-ভোঁদা পৌঁছে গেছে। নারায়ণ দেবনাথ -এর প্রতি #গল্পগুচ্ছ এর পক্ষ থেকে সশ্রদ্ধ প্রণাম ।
ভাল থাকবেন, যেখনেই থাকবেন। আমরা কিন্তু আপনার দেশেই রয়ে গেলাম ।
নমস্কার সহ
অঙ্কুর রায়
সংখ্যার সম্পাদক
অভিজিৎ চক্রবর্ত্তী
প্রধান সম্পাদক
লেখা পাঠানোর জন্য
আপনার লেখা পাঠান আমাদেরকে
golpoguccha2018@gmail.com
Total Pageviews
By Boca Nakstrya and Gologuccha . Powered by Blogger.
ঋণ স্বীকার
সুদীপ্তা চট্টোপাধ্যায়
দরজায় কড়া নাড়ার শব্দে মানসী দেবীর চোখ যায় ঘড়ির দিকে। ঘড়ির কাঁটায় ন'টা। এতরাতে আবার কে! রীতিমতো বিরক্ত হয়ে মানসী দেবী চিৎকার দিলেন, বৌমা দেখো তো কে এল।
নীলা গ্যাসটা অফ করে ছুটে যায় দরজা খুলতে। কি রে, আমিনা তুই! এত রাতে।
সংখ্যা লঘুদের উপর অত্যাচার। বাংলাদেশে একের পর এক হিন্দুদের ঘর জ্বলতে দেখে মাথাটা গরম হয়ে উঠেছিল প্রকাশের। পুজোর পর থেকেই এই দেশের হিন্দুদের রক্তও কেমন যেন গরম হয়ে উঠেছিল। প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল ফেসবুক আর সোসাল মিডিয়ায়।
মা, দিনরাত সিরিয়াল না দেখে টিভির নিউজ গুলো একটু দেখো।
আবার কী হল তোর! রাগ করছিস কেন? ছেলেকে শান্ত করার চেষ্টা করেন মানসী দেবী।
ওরা আমাদের উপর অত্যাচার করে। আমাদের ঘর পুড়িয়ে দেয়। আর আমরা মেরুদণ্ডহীন। লকডাউনের সময় একজন গরিব মুসলিম মেয়েকে কাজ দিয়েছি। বিশ্বাস করেছি। ওদেরকে বিশ্বাস করা সব থেকে বড় অন্যায়। আমিনাকে ছাড়িয়ে দাও। কি জানি কথার থেকে আসে সব বস্তির মেয়ে। শেষে পিঠে ছুরি মারবে।
কী বলছিস তুই প্রকাশ। ভেবে বল। এই সময় আমিনাকে ছাড়িয়ে দিলে বৌমার উপর খুব চাপ পড়ে যাবে।
নীলা বলে, ওদের সাথে আমাদের এখানেই তফাৎ। আমরা মানুষ। আমরা কারুর কাজ এভাবে কেড়ে নিতে পারিনা।
প্রকাশ কারুর কোনো কথা শুনল না। কিছু টাকা দিয়ে পুজোর পর আমিনাকে ছাড়িয়ে দিল।
মানসী দেবী টিভিটা অফ করে এগিয়ে আসেন। কি রে আমিনা তুই! এতদিন পর।
ঠাণ্ডায় কাঁপতে থাকে আমিনা। গায়ে একটা সুতির চাদর। হাতে একটা টিফিন বক্স। তোমাদের এখানে কাজ ছাড়ার পর, আমি আর আম্মি মোড়ের মাথায় একটা খাবার দোকান দি। আম্মি বললো, এটা পৌষ মাস। তোমরা এ মাসেই পিঠে খাও। তাই আম্মি তোমার আর কাকীমার জন্য এই দুধ পিঠে গুলো পাঠিয়ে দিল। কথা গুলো এক নিঃশ্বাসে বলে গেল বছর আটের আমিনা।
মানসী দেবী টিফিন বক্সটা হাতে নিয়ে , কিছু টাকা আমিনার হাতে দিয়ে বললো, এটা রাখ। চকলেট খাবি।
ফকলা দাঁতে হাসি ফুটে উঠল আমিনার।
ঠাকুমা, আম্মি সব সময় তোমাদের কথা বলে। লকডাউনের সময় তোমরা আমাদেরকে কাজ দিয়েছিলে। তোমরা কত ভালো মানুষ।
মানসী দেবী কিছু বলার আগেই আমিনা ছুটে চলে যায়। চোখের পলক পড়তে না পড়তেই আমিনা ছুটে যায় অন্ধকারে।
_______
Subscribe to:
Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment