সম্পাদকের কলমে

নারায়ণ দেবনাথ- সত্যি বলতে কি একটা অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি হল। একটা বিশাল বড় অধ্যায়, যেখানে বাবা/ মা, ছেলে/ মেয়ে বা দাদু/দিদা, পিসি, ঠাম্মা সব এক হয়ে গেছিল । চলে গেলেন শরীরের দিক থেকে কিন্তু সারাজীবন রয়ে গেলেন মনে, চোখে আর স্বপ্নে। কার্টুন তাও আবার নিখাদ বাংলা ভাষায়, বাংলা চরিত্র নিয়ে, কিন্তু সেই চরিত্র আবার খুব সাহসী। উনি সাহস দেখিয়েছিলেন বলেই বাংলার ঘরে ঘরে বাঁটুল, হাঁদা-ভোঁদা পৌঁছে গেছে। নারায়ণ দেবনাথ -এর প্রতি #গল্পগুচ্ছ এর পক্ষ থেকে সশ্রদ্ধ প্রণাম । ভাল থাকবেন, যেখনেই থাকবেন। আমরা কিন্তু আপনার দেশেই রয়ে গেলাম । নমস্কার সহ অঙ্কুর রায় সংখ্যার সম্পাদক অভিজিৎ চক্রবর্ত্তী প্রধান সম্পাদক

লেখা পাঠানোর জন্য

আপনার লেখা পাঠান আমাদেরকে
golpoguccha2018@gmail.com

Total Pageviews

By Boca Nakstrya and Gologuccha . Powered by Blogger.

 গীতা

কৃপাণ মৈত্র


ডাক্তার জবাব দিয়েছেন। ঝাপসা চোখে রতন বারি  পরিজনদের চেনার চেষ্টা করছে। 

    ঠাকুর মশাই গঙ্গা জলে গীতা শুদ্ধ করে সবে পড়তে শুরু করেছেন, রতন বারি অস্থির হয়ে ঘন ঘন শ্বাস ফেলতে লাগল।

     রতনের বউ বলল, যে লোকটা সারা জীবন সুদের কারবার করে গেল, ভয়ে গীতায় হাত দিল না, সে কখনো মরণ কালে গীতা শুনতে চায়!

     ঠাকুরমশাই বললেন, জীবনের দেনা পাওনার হিসেব এখনো মন জুড়ে। ওর মুক্তি নেই।

     ঠাকুরমশাই সবে গীতা পাঠ শুরু করেছেন রতন বারির বড় ছেলে মহেশ হাত তুলে ঠাকুর মশাই কে থামিয়ে দিয়ে ইশারায় গীতা পাঠ বন্ধ করতে বলল। সে ছুটে গেল ঘরের ভেতরে। একটু পরে একটা জাবদা খাতা এনে বাবার কানের কাছে মুখ এনে পড়তে লাগল কার কাছে সুদ আসল বাবদ কত বাকি। রতন বারির চোখ বড় হতে হতে যেন ঠেলে বেরিয়ে আসতে চাইছে।

   - কোন নাম ছেড়ে গেলি নাকি?

   - ঠিক বলেছ মা, রসিক শাপুই-এর নাম বলা হয়নি। এ যে দেখছি অনেক বাকি।

     রসিক শাপুই কাছে দাঁড়িয়ে ছিল। সে ঠাকুরমশাই-এর হাত থেকে গীতাটা টেনে নিয়ে বলল,কত্তাবাবা, গীতা ছুঁয়ে কথা দিচ্ছি, সুদে-আসলে সব শোধ করে দেব।তুমি নিশ্চিন্তে ওপারে যাও।

     রতন চোখ বন্ধ করল। তার চোখের কোল বেয়ে একফোঁটা জল বিছানায় গড়িয়ে পড়ল। ঠাকুরমশাই মৃদু হাসলেন। মহেশ জাবদা খাতা বন্ধ করে গীতায় ঠৈকাল।তারপর মহেশের মাথায় ছুঁয়িয়ে নিজের মাথায় ঠেকাল।

0 comments: