সম্পাদকের কলমে
লেখা পাঠানোর জন্য
Total Pageviews
বিলাসিতা
পার্থ প্রতিম সামন্ত
ক্যান্সার ধরা পড়েছিল ধর্মনগরের কুনাল বাল্মিকীর। কাছাড় ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তার।
ধর্মনগর থেকে বারবার শিলচর আসা-যাওয়া, থাকা-খাওয়া ও চিকিৎসায় সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ে।
ডাক্তার রবি কান্নানের সামনে বসে কুনাল ও তার স্ত্রী কমলা। শেষ ডোজটি নেওয়া হয়ে গেলে যখন পরবর্তী ডাক্তার দেখানোর তারিখটা লিখতে যাবেন কুনাল হাঁউমাউ করে কাঁদতে থাকে। হাতজোড় করে বলে, আমরা খুব গরীব - আর তারিখ দেবেন না ডাক্তারবাবু। স্ত্রী কমলার চোখেও জল...! ডাক্তার জানতে চান – কেন? বছর পঁয়তাল্লিশের হত-দরিদ্র
দিনমজুর কুনাল বলে, এবারই আসতে চাইনি। কি করে আসব! রোগের কারণে কাজকর্ম কতদিন বন্ধ। একে একে সব
বিক্রি করে চিকিৎসা করাচ্ছি। এখন সম্বল বলতে শুধু বসত বাড়িটা। খদ্দের মেলেনি বলে উপায় না দেখে এলাকারই পরিচিত রমেশের কাছে সাত বছরের ছেলেকে বন্ধক রেখে পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে হাসপাতালে এসেছি শেষ ডোজ
নিতে। ফিরে গিয়ে বাড়ি বিক্রি করে ছেলেকে ছাড়াব...! বলে স্বামী-স্ত্রী কেঁদে উঠল।
কথাটা শুনে ডাক্তার কান্নান চোখের জল সামলাতে পারেননি। ভাবতে থাকেন – শুধু ওষুধ লিখে দিলেই সব
হয় না। রোগীর কিনে খাওয়ার ক্ষমতা আছে নাকি তা-ও দেখতে হয় – না হলে চিকিৎসাও গরীবের বিলাসিতা...!।
1 comments:
বেশ লাগলো
Post a Comment