সম্পাদকের কলমে

নারায়ণ দেবনাথ- সত্যি বলতে কি একটা অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি হল। একটা বিশাল বড় অধ্যায়, যেখানে বাবা/ মা, ছেলে/ মেয়ে বা দাদু/দিদা, পিসি, ঠাম্মা সব এক হয়ে গেছিল । চলে গেলেন শরীরের দিক থেকে কিন্তু সারাজীবন রয়ে গেলেন মনে, চোখে আর স্বপ্নে। কার্টুন তাও আবার নিখাদ বাংলা ভাষায়, বাংলা চরিত্র নিয়ে, কিন্তু সেই চরিত্র আবার খুব সাহসী। উনি সাহস দেখিয়েছিলেন বলেই বাংলার ঘরে ঘরে বাঁটুল, হাঁদা-ভোঁদা পৌঁছে গেছে। নারায়ণ দেবনাথ -এর প্রতি #গল্পগুচ্ছ এর পক্ষ থেকে সশ্রদ্ধ প্রণাম । ভাল থাকবেন, যেখনেই থাকবেন। আমরা কিন্তু আপনার দেশেই রয়ে গেলাম । নমস্কার সহ অঙ্কুর রায় সংখ্যার সম্পাদক অভিজিৎ চক্রবর্ত্তী প্রধান সম্পাদক

লেখা পাঠানোর জন্য

আপনার লেখা পাঠান আমাদেরকে
golpoguccha2018@gmail.com

Total Pageviews

By Boca Nakstrya and Gologuccha . Powered by Blogger.

  বিলাসিতা

পার্থ প্রতিম সামন্ত


          ক্যান্সার ধরা পড়েছিল ধর্মনগরের কুনাল বাল্মিকীর। কাছাড় ক্যান্সার হাসপাতালে  চিকিৎসা চলছিল তার।

ধর্মনগর থেকে বারবার শিলচর আসা-যাওয়া,  থাকা-খাওয়া ও চিকিৎসায় সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ে।

ডাক্তার রবি কান্নানের সামনে বসে কুনাল ও তার স্ত্রী কমলা। শেষ  ডোজটি নেওয়া হয়ে গেলে যখন পরবর্তী ডাক্তার দেখানোর তারিখটা লিখতে যাবেন কুনাল হাঁউমাউ করে কাঁদতে থাকে। হাতজোড় করে বলে, আমরা খুব গরীব - আর তারিখ দেবেন না ডাক্তারবাবু। স্ত্রী কমলার চোখেও জল...! ডাক্তার  জানতে চান – কেন? বছর পঁয়তাল্লিশের হত-দরিদ্র

দিনমজুর কুনাল বলে, এবারই আসতে চাইনি। কি করে আসব! রোগের কারণে কাজকর্ম কতদিন বন্ধ। একে একে সব

বিক্রি করে চিকিৎসা  করাচ্ছি। এখন সম্বল বলতে শুধু বসত বাড়িটা। খদ্দের মেলেনি বলে উপায় না দেখে এলাকারই পরিচিত রমেশের কাছে সাত বছরের ছেলেকে বন্ধক রেখে পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে হাসপাতালে এসেছি শেষ  ডোজ

নিতে। ফিরে গিয়ে বাড়ি বিক্রি করে ছেলেকে ছাড়াব...! বলে স্বামী-স্ত্রী কেঁদে উঠল।

          কথাটা শুনে ডাক্তার কান্নান চোখের জল সামলাতে পারেননি। ভাবতে থাকেন – শুধু ওষুধ  লিখে দিলেই সব

হয় না। রোগীর কিনে খাওয়ার ক্ষমতা আছে নাকি তা-ও দেখতে হয় – না হলে চিকিৎসাও গরীবের বিলাসিতা...!।

1 comments:

অসীম হালদার said...

বেশ লাগলো