সম্পাদকের কলমে

নারায়ণ দেবনাথ- সত্যি বলতে কি একটা অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি হল। একটা বিশাল বড় অধ্যায়, যেখানে বাবা/ মা, ছেলে/ মেয়ে বা দাদু/দিদা, পিসি, ঠাম্মা সব এক হয়ে গেছিল । চলে গেলেন শরীরের দিক থেকে কিন্তু সারাজীবন রয়ে গেলেন মনে, চোখে আর স্বপ্নে। কার্টুন তাও আবার নিখাদ বাংলা ভাষায়, বাংলা চরিত্র নিয়ে, কিন্তু সেই চরিত্র আবার খুব সাহসী। উনি সাহস দেখিয়েছিলেন বলেই বাংলার ঘরে ঘরে বাঁটুল, হাঁদা-ভোঁদা পৌঁছে গেছে। নারায়ণ দেবনাথ -এর প্রতি #গল্পগুচ্ছ এর পক্ষ থেকে সশ্রদ্ধ প্রণাম । ভাল থাকবেন, যেখনেই থাকবেন। আমরা কিন্তু আপনার দেশেই রয়ে গেলাম । নমস্কার সহ অঙ্কুর রায় সংখ্যার সম্পাদক অভিজিৎ চক্রবর্ত্তী প্রধান সম্পাদক

লেখা পাঠানোর জন্য

আপনার লেখা পাঠান আমাদেরকে
golpoguccha2018@gmail.com

Total Pageviews

By Boca Nakstrya and Gologuccha . Powered by Blogger.

 পলাশবনীর পড়শি

সাগরিকা বিশ্বাস 

ইস্কুলেতে এলো তারা,কিন্ত মুখে মাস্ক।

সব ধোঁয়াটে লাগছে তাদের,চেনা কঠিন টাস্ক।

ভাইরাসটি যাবে বলেও যাচ্ছে নাতো আর

হাত গুটিয়ে বসে থেকে হচ্ছিতো জেরবার।

এরই মাঝে ফাগুণ হাওয়া,যেতে হবে স্কুল

পরীক্ষাটি অফলাইনে, সিবিএসসি রুল।

উদ্বেগ আর খুশী মিলে মিশ্র অনুভুতি

এবার বুঝি কোয়ারেন্টিনে পড়ল খানিক যতি।

বন্ধুরা সব দূরে দূরে লিখছে গভীর মনে

সে ভাবছে পলাশ কতো আজ ফুটেছে বনে

পলাশ ফুলের মাস্ক লাগেনা,নেইতো কোনো ভয়

সংক্রমনের মাঝেও সেতো আকাশপানে রয়।

একটি বছর আগেও তারা ছুটতো যে প্রাণপণ

কদিন শুধু বসে থেকেই গুনেছে দিনক্ষণ

স্কুলে এসেও বন্ধুরা সব থাকছে দূরে দূরে।

মনের কথা যায়না বলা খাচ্ছে কুরে কুরে।

দুরত্ব আর সমাজবিধি এসব মেনেই চলা

যুক্তি আর নিয়ম মেনেই হয়না কথা বলা।

চলে যাবে অন্য কোথাও যেথায় আছে মুক্তি।

মা বাবাকে দিতেই হবে পালটা কোনো যুক্তি

হটাত কখন দিদিমনি দাঁড়ায় এসে পাশে

বুক যেন তার ওঠে কেঁপে দারুন একটি ত্রাসে।

ভাবলো বুঝি বকার তোড়ে কেঁদেই দেবে শেষে

কিন্ত যে তার দিদিমনি দাঁড়িয়ে আছেন হেসে।

দিদিমনি আছেন পরে পলাশরঙ্গা শাড়ি

পড়াশোনা বকার মাঝে যেন ফাগুন বাড়ি

বৃথাই ভাবে দূরে যাবে,দুরেই আছে সুখ

এইখানেতেই সবকিছু তার,কিশোরবেলার মুখ।

দিদিমনি বলেন হেসে,ভাবনা এতো কিসে?

ট্যুরে তোদের যাবো নিয়ে পলাশবনীর দেশে।

মুহুর্তে তার ভাবনা উড়ে ছড়িয়ে পড়ে হাসি

মাস্টার আর দিদিমনি- তারাই পলাশ রাশি।।

0 comments: