সম্পাদকের কলমে
লেখা পাঠানোর জন্য
Total Pageviews
পলাশবনীর পড়শি
সাগরিকা বিশ্বাস
ইস্কুলেতে এলো তারা,কিন্ত মুখে মাস্ক।
সব ধোঁয়াটে লাগছে তাদের,চেনা কঠিন টাস্ক।
ভাইরাসটি যাবে বলেও যাচ্ছে নাতো আর
হাত গুটিয়ে বসে থেকে হচ্ছিতো জেরবার।
এরই মাঝে ফাগুণ হাওয়া,যেতে হবে স্কুল
পরীক্ষাটি অফলাইনে, সিবিএসসি রুল।
উদ্বেগ আর খুশী মিলে মিশ্র অনুভুতি
এবার বুঝি কোয়ারেন্টিনে পড়ল খানিক যতি।
বন্ধুরা সব দূরে দূরে লিখছে গভীর মনে
সে ভাবছে পলাশ কতো আজ ফুটেছে বনে
পলাশ ফুলের মাস্ক লাগেনা,নেইতো কোনো ভয়
সংক্রমনের মাঝেও সেতো আকাশপানে রয়।
একটি বছর আগেও তারা ছুটতো যে প্রাণপণ
কদিন শুধু বসে থেকেই গুনেছে দিনক্ষণ
স্কুলে এসেও বন্ধুরা সব থাকছে দূরে দূরে।
মনের কথা যায়না বলা খাচ্ছে কুরে কুরে।
দুরত্ব আর সমাজবিধি এসব মেনেই চলা
যুক্তি আর নিয়ম মেনেই হয়না কথা বলা।
চলে যাবে অন্য কোথাও যেথায় আছে মুক্তি।
মা বাবাকে দিতেই হবে পালটা কোনো যুক্তি
হটাত কখন দিদিমনি দাঁড়ায় এসে পাশে
বুক যেন তার ওঠে কেঁপে দারুন একটি ত্রাসে।
ভাবলো বুঝি বকার তোড়ে কেঁদেই দেবে শেষে
কিন্ত যে তার দিদিমনি দাঁড়িয়ে আছেন হেসে।
দিদিমনি আছেন পরে পলাশরঙ্গা শাড়ি
পড়াশোনা বকার মাঝে যেন ফাগুন বাড়ি
বৃথাই ভাবে দূরে যাবে,দুরেই আছে সুখ
এইখানেতেই সবকিছু তার,কিশোরবেলার মুখ।
দিদিমনি বলেন হেসে,ভাবনা এতো কিসে?
ট্যুরে তোদের যাবো নিয়ে পলাশবনীর দেশে।
মুহুর্তে তার ভাবনা উড়ে ছড়িয়ে পড়ে হাসি
মাস্টার আর দিদিমনি- তারাই পলাশ রাশি।।
0 comments:
Post a Comment