সম্পাদকের কলমে

নারায়ণ দেবনাথ- সত্যি বলতে কি একটা অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি হল। একটা বিশাল বড় অধ্যায়, যেখানে বাবা/ মা, ছেলে/ মেয়ে বা দাদু/দিদা, পিসি, ঠাম্মা সব এক হয়ে গেছিল । চলে গেলেন শরীরের দিক থেকে কিন্তু সারাজীবন রয়ে গেলেন মনে, চোখে আর স্বপ্নে। কার্টুন তাও আবার নিখাদ বাংলা ভাষায়, বাংলা চরিত্র নিয়ে, কিন্তু সেই চরিত্র আবার খুব সাহসী। উনি সাহস দেখিয়েছিলেন বলেই বাংলার ঘরে ঘরে বাঁটুল, হাঁদা-ভোঁদা পৌঁছে গেছে। নারায়ণ দেবনাথ -এর প্রতি #গল্পগুচ্ছ এর পক্ষ থেকে সশ্রদ্ধ প্রণাম । ভাল থাকবেন, যেখনেই থাকবেন। আমরা কিন্তু আপনার দেশেই রয়ে গেলাম । নমস্কার সহ অঙ্কুর রায় সংখ্যার সম্পাদক অভিজিৎ চক্রবর্ত্তী প্রধান সম্পাদক

লেখা পাঠানোর জন্য

আপনার লেখা পাঠান আমাদেরকে
golpoguccha2018@gmail.com

Total Pageviews

By Boca Nakstrya and Gologuccha . Powered by Blogger.

 মকর সংক্রান্তির পিঠেপুলি 

রীতা চট্টোপাধ্যায় 

    সারা বছরে মোট ১২টা সংক্রান্তির মধ্যে মেষ, কর্কট, তুলা এবং মকর সংক্রান্তি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ।  পৌষ মাসে সূর্যের মকর রাশিতে প্রবেশই মকর সংক্রান্তি হিসাবে পালিত হয়। সূর্যের মকর রাশিতে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই দেশের প্রায় সমস্ত স্থানেই শুভ মাঙ্গলিক কাজগুলি, যেমন,  শুভ বিবাহ, গৃহ প্রবেশ ইত্যাদির প্রস্তুতি চলতে থাকে। এই সময় সূর্যের দক্ষিণায়ন শেষ হয় ও উত্তরায়ণের সূচনা হয়।
     মকর সংক্রান্তি বাঙালির একটি উল্লেখযোগ্য উৎসব।  পৌষ মাসের শেষ দিন এই উৎসব পালন করা হয়। এই দিন বছরের নতুন ফসল চাল, তার সঙ্গে নতুন খেজুরের গুড়, দুধ, নারকেল,  খোয়া ইত্যাদি বাড়ির মহিলারা ঈশ্বরের উদ্যেশ্যে নিবেদন ক'রে উৎসবের সূচনা করেন। মকর সংক্রান্তি,  পৌষ সংক্রান্তি কিংবা পৌষ পার্বণ,  উৎসবের নাম যা-ই হোক না কেন, পিঠেপুলি বা রকমারি সুস্বাদু খাবার ছাড়া এই উৎসবের রঙ ফিকে হ'তে বাধ্য। তাই তো পৌষ পার্বণের প্রায় সপ্তাহ খানেক আগের থেকেই পিঠেপুলি তৈরির তোড়জোড় শুরু হ'য়ে যায়। সংক্রান্তির দিন ভোররাত থেকে পূণ্যস্নানের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কোথাও 'লোহরি' তো কোথাও 'পোঙ্গল' উৎসব পালিত হয়ে থাকে।দেশের প্রায় সব ঘরেই কমবেশি এই উৎসবের আমেজ পাওয়া যায়। কোথাও নতুন নতুন পিঠেপুলির আয়োজন আবার কোথাও মিষ্টিমুখে উৎসবের উদযাপন চলতে থাকে।
      দেশের কয়েকটি প্রান্তে এমন উৎসবের দিনে কি কি খাবার তৈরি হয়ে থাকে তার কিছু এখানে উল্লেখ করছি-----
১) পিঠেপুলি :-  মকর সংক্রান্তি মানেই বাঙালির ঘরে ঘরে পিঠেপুলি তৈরি হবেই। এই পিঠেপুলির আস্বাদনে মেতে ওঠে আপামর বাঙালি। মিষ্টিপ্রিয় বাঙালির কাছে পৌষের নতুন চাল, গুড়, নারকেল, দুধ দিয়ে তৈরি নানান সুস্বাদু পিঠেপুলি নতুন আমেজের সৃষ্টি করে। পিঠেপুলি মানেই আদর, স্নেহ,  আর ভালোবাসার স্পর্শ। খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই মধুর পরশটুকু তুলনাহীন। পুলিপিঠের মধ্যে মুগের পুলি, ভাজাপুলি, দুধপুলি, চন্দ্রপুলি, সিদ্ধপুলি, আর পিঠে বলতে গোকুলপিঠে, পাটিসাপটা,  নারকেল পিঠে, সরুচুকলি, গড়গড়া, পোস্তপিঠে, পাতপিঠে, ডালের পিঠে আরও কত-কি!
২) আপ্পালু :- দক্ষিণ ভারতে এমন দিনে তৈরি করা হয় আপ্পালু। অন্ধ্রপ্রদেশ,  তেলেঙ্গানায় এই মিষ্টি অত্যন্ত জনপ্রিয়। খানিকটা আমাদের দেশের মালপোয়ার মতো স্বাদ।
৩) তিলের নাড়ু :- বিহার, গোয়ালিয়রের এক বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে এই মকর সংক্রান্তিতে গুড় এবং তিল দিয়ে তৈরি এই নাড়ু উৎসবকে আরও আনন্দময় ক'রে তোলে। এদিন বিহারে দইচূড়ো তৈরি করা হয়।
৪) উন্ধিউ :-  বিভিন্ন ধরণের সবজি, পাঁপড়,  কাঁচাকলা দিয়ে তৈরি হয় গুজরাটের এই বিশেষ ডিশটি। মকর সংক্রান্তির দিন একটা বড় কড়াই এ এই পাঁচ মিশালী তরকারিটি তৈরি করা হয়।  উৎসবের দিন বাজরার রুটি দিয়ে খেতে মন্দ লাগে না।
৫) পুরান পোলি :- মহারাষ্ট্রের ঘরে ঘরে ডাল আর গুড় দিয়ে তৈরি রুটির মতো দেখতে এই পুরান পোলি মিষ্টি মারাঠাদের অত্যন্ত জনপ্রিয়। ঘিয়ে ভাজা এই মিষ্টি দিয়েই মহারাষ্ট্রে পালিত হয় এই উৎসব। এছাড়া তিল চিক্কি, গজক, রেওয়ারি,  ইত্যাদি এই সময় তৈরি করা হয়।


0 comments: