সম্পাদকের কলমে

নারায়ণ দেবনাথ- সত্যি বলতে কি একটা অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি হল। একটা বিশাল বড় অধ্যায়, যেখানে বাবা/ মা, ছেলে/ মেয়ে বা দাদু/দিদা, পিসি, ঠাম্মা সব এক হয়ে গেছিল । চলে গেলেন শরীরের দিক থেকে কিন্তু সারাজীবন রয়ে গেলেন মনে, চোখে আর স্বপ্নে। কার্টুন তাও আবার নিখাদ বাংলা ভাষায়, বাংলা চরিত্র নিয়ে, কিন্তু সেই চরিত্র আবার খুব সাহসী। উনি সাহস দেখিয়েছিলেন বলেই বাংলার ঘরে ঘরে বাঁটুল, হাঁদা-ভোঁদা পৌঁছে গেছে। নারায়ণ দেবনাথ -এর প্রতি #গল্পগুচ্ছ এর পক্ষ থেকে সশ্রদ্ধ প্রণাম । ভাল থাকবেন, যেখনেই থাকবেন। আমরা কিন্তু আপনার দেশেই রয়ে গেলাম । নমস্কার সহ অঙ্কুর রায় সংখ্যার সম্পাদক অভিজিৎ চক্রবর্ত্তী প্রধান সম্পাদক

লেখা পাঠানোর জন্য

আপনার লেখা পাঠান আমাদেরকে
golpoguccha2018@gmail.com

Total Pageviews

By Boca Nakstrya and Gologuccha . Powered by Blogger.

 ভাইরাস

    দিলীপ কুমার ঘোষ 


 বড়কার হাঁকডাকে দ্বিপ্রাহরিক মিঠে ভাতঘুমটা মাটি হল! দরজা খুলে মুখ বাড়াতে ও বলল, "স্যার, টাকাটা দেবেন?"

 "কীসের টাকা?"

 "বাগান পরিষ্কার করার বাকি একশো চল্লিশ টাকা?"

 বিরক্ত হয়ে বললাম, "চারিদিকে করোনা, আর তুই এখন ওই ক'টা টাকার জন্য এসেছিস! তা-ও আবার এই ভরদুপুরে! এখন যা, লকডাউন উঠলে নিয়ে যাস।"

 "আজকেই দিন না স্যার, একদম চলছে না।"

 "বলছি তো পরে আসিস। আজ খুচরো নেই, সব দু'হাজারের নোট।"

 হেডস্যারের অনুরোধ ঠেলতে না-পেরে মিড-ডে মিল দেওয়ার জন্য বেরিয়েছিলাম। বড়কার ঘরের সামনে ভিড়। বাইকটা আস্তে করলাম। দেখলাম খাটুলিতে বড়কার শরীর। না-থেমে এগিয়ে যাওয়ার সময় একবার মনে হল শ্মশানখরচ হিসাবে একশো চল্লিশ টাকাটা আজকে দিয়ে গেলে বোধহয় ভালো হোতো।

0 comments: