সম্পাদকের কলমে

নারায়ণ দেবনাথ- সত্যি বলতে কি একটা অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি হল। একটা বিশাল বড় অধ্যায়, যেখানে বাবা/ মা, ছেলে/ মেয়ে বা দাদু/দিদা, পিসি, ঠাম্মা সব এক হয়ে গেছিল । চলে গেলেন শরীরের দিক থেকে কিন্তু সারাজীবন রয়ে গেলেন মনে, চোখে আর স্বপ্নে। কার্টুন তাও আবার নিখাদ বাংলা ভাষায়, বাংলা চরিত্র নিয়ে, কিন্তু সেই চরিত্র আবার খুব সাহসী। উনি সাহস দেখিয়েছিলেন বলেই বাংলার ঘরে ঘরে বাঁটুল, হাঁদা-ভোঁদা পৌঁছে গেছে। নারায়ণ দেবনাথ -এর প্রতি #গল্পগুচ্ছ এর পক্ষ থেকে সশ্রদ্ধ প্রণাম । ভাল থাকবেন, যেখনেই থাকবেন। আমরা কিন্তু আপনার দেশেই রয়ে গেলাম । নমস্কার সহ অঙ্কুর রায় সংখ্যার সম্পাদক অভিজিৎ চক্রবর্ত্তী প্রধান সম্পাদক

লেখা পাঠানোর জন্য

আপনার লেখা পাঠান আমাদেরকে
golpoguccha2018@gmail.com

Total Pageviews

By Boca Nakstrya and Gologuccha . Powered by Blogger.

 শ্বশুরবাড়ি অভিযান

অঙ্কুর রায় 


শীতের দিনে শ্বশুরবাড়ির মজা ষোল আনা 

নিতে সেদিন সকাল সকাল দিয়েছিলাম হানা ।

ভেবেছিলাম শীতের সকাল দিব্যি যাবে জমে -

কড়াইশুঁটির কচুরি আর কষা আলুরদমে ।

জয়নগরের মোয়ায় বা নলেনগুড়ের সন্দেশে , 

মুখ মিষ্টি করা যাবে হালকা জলযোগ শেষে ।

আদা চায়ে চুমুক দিয়ে ঘুরে এসে পাড়া , 

'শিগগিরই স্নান সেরে নাও' , শাশুড়ি দেবেন তাড়া ।

দুপুরবেলা গরম ভাত আর কচি পাঁঠার ঝোলে 

তৃপ্ত ঢেকুর , দিবানিদ্রা নরম রোদের কোলে ।

সন্ধ্যাবেলা পাটিসাপটা অথবা গুড়ের পায়েস ,

ঠিক ধরেছ ! অন্তমিল দিতে বসাবো আয়েস ।

রাত্রিবেলা দিস্তা খানেক ফুলকো লুচির সাথে 

আলুরদম,মুরগির ঝোল আর রসগোল্লা শেষ পাতে।


এসব কথা ভাবতে ভাবতে শ্বশুরবাড়ির দরজায়.... 

পৌঁছে দেখি ঝুলছে তালা !

শালা !

শাশুড়ি-শ্বশুর-শালি-শালা পিকনিকে সব গেছে হায়।

8 comments:

তনুজা চক্রবর্তী। said...

খুব মজা পেলাম পড়ে। বেচারা জামাই!

Prabir Bhattacherjee said...

চমৎকার

Mita ghosh said...

হা হা হা হা...😅
পেটুক জামাই স্বপ্ন দেখে মাটন খাবে কষে
ঘুমটি ভেঙে দেখল সে যে মেঝেয় আছে বসে
শ্বশুর গেছে শ্বশুরবাড়ি কড়ায় ঝোলে তালা
মাংস খেতে মামারবাড়ি দৌড়ে গেছে শালা...

ANKUR ROY said...

অশেষ ধন্যবাদ দিদি।

ANKUR ROY said...

ধন্যবাদ ভাই।

ANKUR ROY said...

দারুণ। এটাই পত্রিকায় ছাপিয়ে দেবার মত হয়েছে।

Subhasis Ghosh said...

চমৎকার।

ANKUR ROY said...

অশেষ ধন্যবাদ।