সম্পাদকের কলমে
লেখা পাঠানোর জন্য
Total Pageviews
ভূতোর জুতো জাদুর জুতো
লুৎফর রহমান রিটন
--কী সুন্দর জুতো রে তোর কী সুন্দর জুতো!
এমন জুতো কোথায় পেলি বল দেখি রে ভূতো!
> এমন জুতো কোথায় পেলাম? বলছি চুপি চুপি
পরতো এটা সত্যজিতের বাঘা এবং গুপী।
গুপী-বাঘার এই জুতোটা সত্যজিতের গড়া
ভূতের জুতো। তাই তো পেলাম। বংশ পরম্পরা।
ভূতের রাজার মারফতে যা বর হিশেবে পেয়ে--
নানান দেশে গুপী-বাঘা ঘুরেছে গান গেয়ে।
এই গিয়েছে মরুভূমির তপ্ত বালুর দেশে
পরমুহূর্তে বরফ ছাওয়া পাহাড় খাদে ভেসে--
নেমে এসে ঠিক পড়েছে স্নিগ্ধ নদীর পাড়ে
এমন জুতো এই দুনিয়ায় কে বানাতে পারে?
এই জুতোটা রকেট গতির চাইতে ছোটে দ্রুত
জুতোর দারুণ ম্যাজিক দেখে সকলে আপ্লুত।
এই জুতো পায় সকালে যাই কামরু-কামাক্ষাতে
দুপুরে যাই আফ্রিকাতে শ্মশানঘাটে রাতে।
যদিও আমার পিতৃভূমি কিশোরগঞ্জে, গ্রামে
যে গ্রামটাকে সবাই চেনে সেই 'মসুয়া' নামে।
যেখানটাতে বাস করতেন উপেন্দরের বাবা
সত্যজিতের লেখায় তুমি তাঁদের খবর পাবা।
মসুয়াতেই থাকতো আমার ঠাকুর্দাদার মাতা
জন্ম আমার মসুয়াতেই, বিকাশ কলিকাতা।
ভূতের রাজার বদৌলতে এমন জুতো পেলাম
ভূতের রাজার নির্মাতাকে প্রণাম এবং সেলাম।
ভূত সমাজে সত্যজিতের নামটা অনেক দামি
তাঁর কপালে ভূতের চুমু, তাঁর কপালে হামি।
সত্যজিতের জন্যে ভূতের বুক জুড়ে খুব মায়া
ভূতরা দেখে সকলখানেই সত্যজিতের ছায়া।
ভূতরা তাঁকে স্মরণ করে উল্লসিত মনে
বিশেষ করে জন্মদিনের কেক কাটবার ক্ষণে।
ভূতরা পড়ে সত্যজিতের ভূতের গল্পগুলো
ভূতের স্মৃতি ঝাঁ চকচকে নেই তাতে নেই ধুলো।
গুপী-বাঘার সব সিনেমাই ভূতের ভীষণ প্রিয়
ভূত সমাজে রায় পরিবার সত্যি বরণীয়।
কে না জানে ভূতের রাজার দারুণ জুতোর কথা
হুন্ডি মুন্ডি শুন্ডি গিয়ে কত্তো অভিজ্ঞতা!
জাদুর জুতোর ম্যাজিকে আর বাদ্যি এবং গানে
হীরক রাজ্যে গুপী-বাঘার দারুণ অভিযানে--
মুগ্ধ কে নয়? কে ছিলো না সম্মোহিতের দলে?
ভূতরা তাঁকে স্মরণ করে মিষ্টিতে অম্বলে।
জাদুর জুতোর ক্ষিপ্রগতির পঙ্খীরাজে চড়ে
ভূতেরা যাই ইধার উধার ঘুরতে পরাণ ভরে।
সত্যজিতের বদৌলতেই এমন জুতো পেলাম
ভূতের রাজার নির্মাতাকে প্রণাম এবং সেলাম।
[ভূতের রাজার নির্মাতার জন্মদিন ০২ মে। এবারের জন্মদিনটা তাঁর ১০০ বছর পূর্ণ হবার দিন। ১০১ তম জন্মদিনে সত্যজিৎ রায়ের প্রতি এটাই আমার নৈবেদ্য।]
0 comments:
Post a Comment