সম্পাদকের কলমে

নারায়ণ দেবনাথ- সত্যি বলতে কি একটা অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি হল। একটা বিশাল বড় অধ্যায়, যেখানে বাবা/ মা, ছেলে/ মেয়ে বা দাদু/দিদা, পিসি, ঠাম্মা সব এক হয়ে গেছিল । চলে গেলেন শরীরের দিক থেকে কিন্তু সারাজীবন রয়ে গেলেন মনে, চোখে আর স্বপ্নে। কার্টুন তাও আবার নিখাদ বাংলা ভাষায়, বাংলা চরিত্র নিয়ে, কিন্তু সেই চরিত্র আবার খুব সাহসী। উনি সাহস দেখিয়েছিলেন বলেই বাংলার ঘরে ঘরে বাঁটুল, হাঁদা-ভোঁদা পৌঁছে গেছে। নারায়ণ দেবনাথ -এর প্রতি #গল্পগুচ্ছ এর পক্ষ থেকে সশ্রদ্ধ প্রণাম । ভাল থাকবেন, যেখনেই থাকবেন। আমরা কিন্তু আপনার দেশেই রয়ে গেলাম । নমস্কার সহ অঙ্কুর রায় সংখ্যার সম্পাদক অভিজিৎ চক্রবর্ত্তী প্রধান সম্পাদক

লেখা পাঠানোর জন্য

আপনার লেখা পাঠান আমাদেরকে
golpoguccha2018@gmail.com

Total Pageviews

By Boca Nakstrya and Gologuccha . Powered by Blogger.

 ইঁদুর

সোমা চক্রবর্তী


দেওয়ালে টানানো গিটারটা নামিয়ে নিয়ে ছুট দিল ইঁদুরটা। ঘরের কোণায় একটা ছোট্ট গর্তে ঢুকে পড়ল। সৌম্যও একলাফে পিছন পিছন ঢুকে পড়ল তার মধ্যে।  অপরিসর, অন্ধকার আর অত্যন্ত ময়লা জায়গাটা। ওদেরই বাড়ি না অন্য কোথাও- বোঝা গেলো না। ইঁদুরের গর্ত কতো বড় হয় রে বাবা! বেশ কিছুক্ষণ পর চওড়া মতন একটা জায়গায় থামলো ইঁদুরটা। সৌম্য দেখল সেখানে জমা করা অজস্র জিনিস। বই, কলম, খাতা, হারমোনিয়াম, তবলা, তানপুরা। আবার ছোটদের নানা খেলনা, পুতুল, রান্নাবাটি, ব্যাট, বল, ঘুড়ি। এমনকি একটা আস্ত উঠোন, খেলার মাঠ। আরও আশ্চর্য হয়ে গেল দেখে যে, বেশ কিছু চোখ, কান, মস্তিষ্ক আর হৃদপিন্ড এদিক ওদিক পড়ে রয়েছে। সবই মানুষের!

- " এসব কি?", চেঁচিয়ে জিজ্ঞাসা করল ও।

-" কেন? মানুষের যা কাজে লাগবে না আর, এসব হলো সেই সব কিছু"। বলে সৌম্যর গিটারটা একপাশে রেখে দিল ইঁদুরটা। 


0 comments: