সম্পাদকের কলমে
নারায়ণ দেবনাথ-
সত্যি বলতে কি একটা অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি হল। একটা বিশাল বড় অধ্যায়, যেখানে বাবা/ মা, ছেলে/ মেয়ে বা দাদু/দিদা, পিসি, ঠাম্মা সব এক হয়ে গেছিল । চলে গেলেন শরীরের দিক থেকে কিন্তু সারাজীবন রয়ে গেলেন মনে, চোখে আর স্বপ্নে। কার্টুন তাও আবার নিখাদ বাংলা ভাষায়, বাংলা চরিত্র নিয়ে, কিন্তু সেই চরিত্র আবার খুব সাহসী। উনি সাহস দেখিয়েছিলেন বলেই বাংলার ঘরে ঘরে বাঁটুল, হাঁদা-ভোঁদা পৌঁছে গেছে। নারায়ণ দেবনাথ -এর প্রতি #গল্পগুচ্ছ এর পক্ষ থেকে সশ্রদ্ধ প্রণাম ।
ভাল থাকবেন, যেখনেই থাকবেন। আমরা কিন্তু আপনার দেশেই রয়ে গেলাম ।
নমস্কার সহ
অঙ্কুর রায়
সংখ্যার সম্পাদক
অভিজিৎ চক্রবর্ত্তী
প্রধান সম্পাদক
লেখা পাঠানোর জন্য
আপনার লেখা পাঠান আমাদেরকে
golpoguccha2018@gmail.com
Total Pageviews
By Boca Nakstrya and Gologuccha . Powered by Blogger.
ফেসবুকের গল্প
রণিত দাশগুপ্ত
না। আমার লেখা কোথাও ছাপা হয় না।
কিন্তু মনে লেখক
হবার ইচ্ছে। কত পত্রিকায় লেখা পাঠালাম। কোত্থাও ছাপা হল না। কেন, তা তো জানিনা।
কী আর করা যায়। যার কেউ নেই তার ফেসবুক আছে। সেখানেই লিখতে শুরু করলাম। অন্তত বন্ধুবান্ধবরা তো পড়বে।
ধারাবাহিকভাবে দুটো
চরিত্রকে নিয়ে লিখতে থাকলাম। সুজন আর সৃজনী। প্রাক্তন প্রেমিক-প্রেমিকা। তাদের এখনকার জীবনের গল্প।
পোস্ট করার পর দেখলাম, এই তো! বেশ লাইক পড়ছে। কয়েকটা এপিসোড এর পর দু-একটা কমেন্টস-ও। বুঝলাম, এই প্রেমের গল্প অন্তত কিছুজনের
ভালো লাগছে। বেশ কয়েকদিন না লিখলে দেখলাম, কয়েকজন না লেখার কারণও জানতে চাইছে মেসেঞ্জারে।
আমার অফিসের সবাই
ফেসবুক ফ্রেন্ড। সেখানেও এই চরিত্র দুটিকে নিয়ে বেশ কথাবার্তা শুরু হল মাঝেমধ্যেই। অনেকেরই আবার ধারণা, সুজন আসলে
আমিই। এটা আমারই গল্প। আমি সবই শুনি আর মুচকি মুচকি হাসি।
সেদিন রাতে একটা
ইমোশনাল এপিসোড পোস্ট করলাম।
তারপরেই সিমি আমাকে
মেসেঞ্জারে একটা মেসেজ পাঠাল। সিমি আমার কলিগ। বেশ অবাক হলাম মেসেজটা পড়ে।
দেখলাম মেসেজে লিখেছে, ‘অনেকদিন ধরেই বলব ভাবছি। যে গল্পটা লিখছ সেটা তো পুরোটাই
আমারই গল্প। কিন্তু তুমি জানলে কী করে? নেহাত অফিসে সারাদিন সবাই সিমি
ডাকতে ডাকতে বেশিরভাগেরই খেয়াল থাকে না যে আমার ভালো নাম সৃজনী। মনে পড়লে কী হবে বলত?’
অনেকক্ষণ হতভম্বের
মতো তাকিয়ে রইলাম মেসেজটার দিকে।
তারপরে আস্তে
আস্তে মনে হল আমাদের অনেকের মধ্যেই সুজন ও সৃজনী আছে। যে গল্প লিখেছি সেটা হয়ত তাদের
সবারই গল্প।
হ্যাঁ, সেটা সিমির গল্পও, আমারও গল্প।
-------------------------------------------------------
রণিত দাশগুপ্ত |
জন্ম ১৯৮৪। স্কটিশ চার্চ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক। কেরিয়ার শুরু কিশোর ভারতী পত্রিকায়। তারপর দৈনিক স্টেটসম্যান, একদিন পত্রিকায় ফ্রিলান্স।
Subscribe to:
Posts (Atom)
0 comments:
Post a Comment