সম্পাদকের কলমে
নারায়ণ দেবনাথ-
সত্যি বলতে কি একটা অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি হল। একটা বিশাল বড় অধ্যায়, যেখানে বাবা/ মা, ছেলে/ মেয়ে বা দাদু/দিদা, পিসি, ঠাম্মা সব এক হয়ে গেছিল । চলে গেলেন শরীরের দিক থেকে কিন্তু সারাজীবন রয়ে গেলেন মনে, চোখে আর স্বপ্নে। কার্টুন তাও আবার নিখাদ বাংলা ভাষায়, বাংলা চরিত্র নিয়ে, কিন্তু সেই চরিত্র আবার খুব সাহসী। উনি সাহস দেখিয়েছিলেন বলেই বাংলার ঘরে ঘরে বাঁটুল, হাঁদা-ভোঁদা পৌঁছে গেছে। নারায়ণ দেবনাথ -এর প্রতি #গল্পগুচ্ছ এর পক্ষ থেকে সশ্রদ্ধ প্রণাম ।
ভাল থাকবেন, যেখনেই থাকবেন। আমরা কিন্তু আপনার দেশেই রয়ে গেলাম ।
নমস্কার সহ
অঙ্কুর রায়
সংখ্যার সম্পাদক
অভিজিৎ চক্রবর্ত্তী
প্রধান সম্পাদক
লেখা পাঠানোর জন্য
আপনার লেখা পাঠান আমাদেরকে
golpoguccha2018@gmail.com
Total Pageviews
By Boca Nakstrya and Gologuccha . Powered by Blogger.
বর্ষারানীর ছন্দে
ত্রিপর্ণা রায়
কফির কাপটা নিয়ে কাঁচের জানলার পাশে দাঁড়াল নীরা আর অজয়।পরস্পরের স্পর্শের শেষ ওমটুকু নিয়ে বৃষ্টিকে উপভোগ করছে ওরা। কাঁচের জানলা দিয়ে বৃষ্টির নির্যাস, কার্নিশে কাকভেজা শাড়ি পেরিয়ে নীরা দেখছে ভাসমান রাস্তাকে। দুপুরের খিচুড়ি-ডিমভাজার পর স্নাত শহর পেরিয়ে নীরা এখন স্রোতস্বিনী নদীর পাশে। গ্রামের কুটিরের পাশে বর্ষার জলে সিক্ত আম- বট নিস্তব্ধ দাঁড়িয়ে। আষাঢ়ের প্রথম বর্ষণে আনন্দে মুখরিত কৃষকরা। বীজ বোনার পরেই পূর্ণ ধানের গোলার পাশের প্রাঙ্গণে নবান্ন উৎসবে মাতবে তারা। পালপুকুরে তখন মাছেদের আনাগোনা। মাছে- ভাতে বাঙালীর রসদ আসছে চিরযৌবনা বর্ষারানীর থেকেই। সেবার তবে বেগবতীর চঞ্চলতায় ভাসিয়েছিল গ্রামের পর গ্রাম, চারদিকে হাহাকার উঠেছিল। " প্রবল বর্ষণে ভাসমান অম্লাপুলের বস্তি, মৃত ...." টিভির খবরে বাস্তবে ফেরে নীরা।
নীরা ফ্ল্যাটের নীচে একটা পলিথিন মাথায় নিয়ে জড়সড় হয়ে বসা আপাদমস্তক ভেজা বাচ্চাটাকে দেখে। আজও যে কল্পনা আর বাস্তব পরস্পরের শত্রু ।
Subscribe to:
Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment