সম্পাদকের কলমে
লেখা পাঠানোর জন্য
Total Pageviews
বেলা শেষে
জনা বন্দ্যোপাধ্যায়
শ্রেয়সী ও শ্রেয়াণের বিয়েটা ম্যাট্রিমোনি ডট কম দেখে দিন কুড়ি হল পাকা হয়েছে l শ্রেয়াণের মা শুভশ্রীদেবী কোন দাবি করেননি পাত্রী পক্ষের কাছে l শ্রেয়াণ ও শ্রেয়সী দুজনেই সরকারী চাকরি করে l এই কদিনে শুভশ্রীদেবী শ্রেয়সীকে বড় বেশী আপন করে নিয়েছেন l শ্রেয়সীর মা পাঁচ বছর আগে ক্যান্সারে মারা গেছেন l ওদিকে শ্রেয়াণের বাবাও হঠাৎ পথ দুর্ঘটনায় মারা গেছেন l
একদিন শ্রেয়সীকে ডেকে শুভশ্রীদেবী সংসারের সব কিছু বুঝিয়ে দেন l শ্রেয়সী সুন্দরী শিক্ষিতা ও পরিণত মনের মেয়ে l হবু শাশুড়িকে বলে," তুমি তো আছো, তাহলে আর আমার সংসারের এত কিছু বোঝার কি আছে!"
শুভশ্রীদেবী শ্রেয়সীকে বলেন, "তোমাদের সংসার তোমরা বুঝে নাও l আমি আর কদিন!"
শুভশ্রী আপত্তির সুরে বলে, "দুর, কী যে বলো!"
একমাসের মধ্যে শ্রেয়াণ ও শ্রেয়সীর বিয়েটা বেশ ঘটা করে ভালো ভাবে সম্পন্ন হয় l বিয়ের তিন দিন পর সকালে উঠে শ্রেয়াণ ও শ্রেয়সী বাড়িতে শুভশ্রীদেবীকে না দেখতে পেয়ে চিন্তায় পড়ে l হঠাতই বসার ঘরের টেবিলে একটি চিঠি পায়,তাতে লেখা --" কলেজে পড়তে যাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছিলাম, কিন্তু সে সুনামিতে মাঝে কিছু বছর হারিয়ে গেছিল! আবার অনেক বছর পর তাকে খুঁজে পেয়েছি, আর হারাতে পারবনা!"
সিটি কলেজে পড়তে শুভশ্রীদেবীর থেকে অনুপমবাবু বছর দুই সিনিয়র ছিলেন l তাঁদের প্রেম টা পরবর্তীকালে শুভশ্রীদেবীর বাড়ি থেকে মেনে নেয়নি l শুভশ্রীদেবীর বাড়ি থেকে মেয়েকে বিয়ে দেবার তাড়া ছিল l অনুপমবাবু তখনও বেকার ছিলেন l তাই বাড়ির অমতে শুভশ্রীদেবী কোন কাজ করার সাহস পাননি l দুজনেরই আর কোন পিছুটান নেই l চেনাপরিচিত জগৎ ছেড়ে বাকি জীবন একসঙ্গে কাটাবেন বলে দুজনে নিরুদ্দেশ যাত্রায় গা ভাসালেন!
অনুপমবাবু শ্রেয়সীর বাবা। মেয়েকে হোয়াটস অ্যাপ-এ একটিমাত্র শব্দ লিখলেন - ''চললাম ''।
0 comments:
Post a Comment