সম্পাদকের কলমে

নারায়ণ দেবনাথ- সত্যি বলতে কি একটা অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি হল। একটা বিশাল বড় অধ্যায়, যেখানে বাবা/ মা, ছেলে/ মেয়ে বা দাদু/দিদা, পিসি, ঠাম্মা সব এক হয়ে গেছিল । চলে গেলেন শরীরের দিক থেকে কিন্তু সারাজীবন রয়ে গেলেন মনে, চোখে আর স্বপ্নে। কার্টুন তাও আবার নিখাদ বাংলা ভাষায়, বাংলা চরিত্র নিয়ে, কিন্তু সেই চরিত্র আবার খুব সাহসী। উনি সাহস দেখিয়েছিলেন বলেই বাংলার ঘরে ঘরে বাঁটুল, হাঁদা-ভোঁদা পৌঁছে গেছে। নারায়ণ দেবনাথ -এর প্রতি #গল্পগুচ্ছ এর পক্ষ থেকে সশ্রদ্ধ প্রণাম । ভাল থাকবেন, যেখনেই থাকবেন। আমরা কিন্তু আপনার দেশেই রয়ে গেলাম । নমস্কার সহ অঙ্কুর রায় সংখ্যার সম্পাদক অভিজিৎ চক্রবর্ত্তী প্রধান সম্পাদক

লেখা পাঠানোর জন্য

আপনার লেখা পাঠান আমাদেরকে
golpoguccha2018@gmail.com

Total Pageviews

By Boca Nakstrya and Gologuccha . Powered by Blogger.

 সামনের সেই বাড়িটা

              
                      সুদীপ্তা চট্টোপাধ্যায়

এক পশলা বষ্টি হতেই শহর টা ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে উঠেছে৷ হালকা রোদ উঠতেই রূপা ভেজা জামা গুলো ছাদে শুকোতে নিয়ে গেছে৷ সামনের বাড়ির ছাদের জানালা টা বন্ধ৷ ইচ্ছে হল একটা ঢিল ছুঁড়ে জানালায় টোকা মারতে৷ ঢিল টা হাতে নিয়েও সাহস পেল না রূপা৷ মনে মনে ভাবলো সারাদিন কি যে জানালা বন্ধ করে রাখে বুঝি না৷একটু রোদ ঢুকবে, এই বৃৃৃৃষ্টি বাদলের দিনে৷ সমীরের আসার সময় হয়ে এল৷ রোদ টা বেশ ভাল লাগছিল তার৷ দু দিন ধরে বৃৃৃৃষ্টি৷ একটু শীত  শীত করছিল৷ 
ডিউটির জুতো পরেই ঘরে ঢুকে পড়লো সমীর৷ কত বার বলেছি, ডিউটির জুতো টা বাইরে খুলতে৷ ছেলেটাও সেই রকম৷ সব তোমার দেখে শিখেছে৷ কথা গুলো এক নিঃশ্বাসে বলতে থাকলো রূপা৷
খুব বিরক্ত লাগছিল সমীরের৷ আরে থাম, থাম৷ তুমি আর কি বুঝবে৷ ডিপারমেণ্টে যা খাটালি৷ সারাদিন তো ঘরেই থাকো৷ বেশ চড়া গলায় জবাব দিল সমীর৷
বড্ড রাগ হয় রূপার৷ ঘরে কি কোন কাজ নেই৷ঘরের কাজ কি কোন কাজ নয়৷ যতই কর না কেন,এ সব কথা শুনতেই হয়৷  ফুটন্ত জলে চিনি আর চা পাতা দিতে দিতে ভাবছিল রূপা৷সারা দিন একটুও রেস্ট নেই৷ ছেলেকে স্কুল পাঠানো, টিফিন করা৷ ঘোর-দোর পরিস্কার৷রান্না৷
হঠাৎ জানালার দিকে চোখ গেল৷ সামনের বাড়ির দরজা টা বন্ধ৷ মন টা কেমন করে উঠল৷ কেন যে এরা সব সময় দরজা জানালা বন্ধ করে রাখে কে জানে!

অনক দিন আগে একজন সালোয়ার কামিজ পরা বৌকে দেখেছিল৷ বেশ সুন্দরী৷ তার বয়সই হবে৷ ইচ্ছে হচ্ছিল গল্প করতে৷ ভাব জমাতে৷ ঈশারা করেছিল রূপা৷ বৌটা ছাদের জানালা টা বন্ধ করে দিয়েছিল৷ সমীর বলেছিল, সিটি সেণ্টার বড়লোক দের জায়গা৷ নতুন এসেছো৷ কি দরকার গায়ে পড়ে ভাব জমাবার৷
টাউনসিপে তো ভালই ছিলাম৷ চারিদিকে কত গাছ৷ সকাল ,বিকেল লোকের সাথে দুটো কথা হত৷ আর এখানে দেখ কেউ কাউকে চেনেই না৷ বন্ধ ঘরে এসি রুমে বসে থাকে৷
রূপা সাত পাঁচ ভাবতে থাকে৷ সিটি সেণ্টারে এই বাড়ি টা সমীর কিনেছে৷ ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে৷ বড় রকমের লোন৷ মাথা টা গরম হয়ে গিয়েছিল৷ রাগের মাথায় কথা গুলো বলেছিলো সমীর৷
আমি একটা বাড়ি দেখে এসেছি মা৷ ভাবছি কিনেই ফেলবো৷ তারপর রূপাকে নিয়ে ওখানেই সিফট করবো৷
গীতা  রাণীর মুখ টা লাল হয়ে উঠেছিল৷ কেমন যেন থমথমে৷ কোন কথা বলে নি ছেলের সাথে৷ শুধু টিভির সাউণ্ড টা জোরে করে দিয়েছিল৷ সিরিয়ালের ঘ্যান ঘ্যান আওয়াজ বড্ড কানে লাগছিল সমীরের৷
রূপা বলেছিল, তোমার মায়ের সাথে আমার এক ছাদের নীচে থাকা সম্ভব নয়৷ এত অশান্তি আমি আর নিতে পারছি না৷ তারপর আবার তোমার ডিভোসি বোন৷ দিন রাত তোমার মায়ের কান ভরে৷ তোমার দিদি তোমার মায়ের সাথে আমার সম্পর্ক খারাপ করে দিচ্ছে৷ তুমি বুঝতে পারছো না৷ এই সব কথা বলতে বলতে রূপার চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়তো৷ খুব বিরক্ত লাগতো সমীরের৷ ডিপারমেণ্টের খাটালি৷ তারপর আবার বাড়ি ফিরেই তিন রমনীর থালা, বাটি, ঘটি নিয়ে কলহ৷ আর চলতো সিরিয়ারের কুট কাচালি৷ পাঁচ বছরের পাপান কে নিয়ে কয়েক মাস আগে গৃৃৃহ প্রবেশ করিয়ে বাড়িটাতে থাকতে শুরু করলো সমীর, রূপা৷
জানালার ধারে দাঁড়িয়ে রূপা বষ্টির শব্দ শুনছিল৷ পাপান ঘুমিয়ে৷ সমীরের আসতে বেশ রাত হবে৷ বলেছিল, প্ল্যাণ্ট থেকে ফেরার পথে মা এর সাথে দেখা করে আসবে৷ মা এর উপর আমার এক দায়িত্ব আছে৷ সেটা আমি অস্বিকার করতে পারি না৷ জানোই তো এটা আমার বাবার চাকরি৷ তাছাড়া আমি একটাই ছেলে৷
সেটা আমি খুব  ভালো করেই জানি৷ ঐ চাকরি টা তোমার নয়৷ তোমার বাবার৷ বেশ বিরক্ত হয়ে বলল রূপা৷ 
কি বলতে চাও? সমীর চিৎকার করে উঠেছিল৷
মাথাটা রূপারও গরম হয়ে উঠেছিল৷ সেও সমান ভাবে গলা চড়িয়ে বলেছিল,যা বলছি ঠিক কথাই তো বলছি৷ তোমার মা,দিদি একটা দিনও আমাকে ভুলতে দেয় নি যে চাকরিটা তোমার বাবার৷ তাই তোমার মাস মাইনের উপর তাদের সমান অধিকার৷
বিশ্বাস করি না তোমাকে৷ সমীর গর্জে উঠেছিল৷ তুমি মায়ের বিরুদ্ধে আমার কান ভরছো৷ 
তারপর উত্তেজিত হয়ে নিজেই মা, দিদিকে বলে বসলো,আমার মাইনের টাকার ভাগ নিতে হলে,তোমাদের কে আমার পরিশ্রমের ভাগও নিতে হবে৷
মা,ছেলের ঝগড়া৷ গীতা রাণীর চিৎকার৷ তোর চাকরি খাবো৷ কোটে কেস করবো৷ তুই কি করিস আমাদের জন্য৷ তুই তোর বৌ এর বসে হয়ে গেছিস৷ শ্বশুর বাড়ির কথা শুনে চলিস৷
তখন সমীরের উচ্চমাধ্যমিক৷ সামনেই জয়েণ্ট৷ একটা একসিডেণ্ট৷ সব স্বপ্ন ধূলোয় মিশে গিয়েছিল৷
মত্যুর আগে বিপ্লব বাবু সমীরের দুটো হাত ধরেছিলেন৷ সমীরের মনে হয়েছিল বাবা তার সমস্ত দায়িত্ব তার উপর চাপিয়ে  দিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমের দুনিয়ায় চলে যেতে চাইছে৷ বাবার মত্যু৷ আঠারো বছর বয়স থেকে কারখানায় হাড় ভাঙা খাটুনি৷ সেই সময় মাই তো তার পাশে ছিল৷ শক্ত করে ধরেছিল তার হাত দুটো৷
তারপর দিদি চলে আসে৷ শ্বশুর বাড়ির অকথ্য অত্যাচার চলছিল তনিমার উপর৷ থানা ,পুলিশ৷ তারপর ডিভোস৷ একটা ছোট বোনও ছিল৷ ভুল মানুষের হাত ধরে পালিয়েছে৷ এখনো তার কোন খবরই নেই৷ কত ঝড় বয়ে গেছে মা ছেলের উপর৷ 
গৃৃৃৃহ প্রবেশ৷ ঘর ভর্তি লোক৷ গীতারানী এসেছিল ছেলের সংসার দেখতে৷ রূপার বাপের বাড়ির লোকও এসেছিল৷ মা, বোন৷ কথা কাটা কাটি৷ তর্ক বিতর্ক৷ চলতে থাকে দুই পরিবারের মধ্যে৷ একটা ঠাণ্ডা যুদ্ধের উপর দিয়েই পেরিয়ে গেল গৃৃৃহ প্রবেশের মত শুভ কাজ৷
জানালার ধারে দাঁড়িয়ে রূপা বৃৃষ্টির শব্দ শুনছিল৷ পাপান ঘুমিয়ে পড়েছে৷
সমীরের আসতে বেশ রাত হবে৷ বলেছিল, ডিউটি  থেকে ফেরার পথে মা এর সাথে দেখা করে আসবে৷ মায়ের শরীর টা ভাল নেই৷ মানুষটার সত্যই খুব কষ্ট৷ দুটো সংসার৷ তারপর আবার লোন শোধের চিন্তা৷ ডিউটি, হাট ,বাজার৷ জুতো সেলাই থেকে চণ্ডিপাট৷ মনটা নরম হয়ে উঠল রূপার৷ মানুষটা খুব ভাল৷ পরিশ্রমি৷ মাঝে মাঝে মাথাটাই যা গরম করে ফেলে৷ মানুষটাকে খুব ভালবাসতে ইচ্ছে হচ্ছিল রূপার৷ কিন্তু তারও কিছু করার ছিল না৷ পাপান তখন দু বছরের৷ গায়ে ধূম জ্বর৷ কি এমন ক্ষতি হত একদিন রুটিটা করে নিলে৷ সিরিয়াল টা কি পালিয়ে যাচ্ছিল৷ নাতির থেকে সিরিয়াল বড় হল৷ রাগ হচ্ছিল৷ কষ্ট হচ্ছিল মনের মধ্যে৷ অসুস্হ ছেলের মুখটা দেখে কান্না পাচ্ছিল৷
পাপানকে এঁটো খাওয়ানো৷ উল্টো  পাল্টা নামে ডাকা৷ কি জামা পরবে,কোন স্কুলে ভর্তি হবে,কি খাবে, কি খাবে না সবেতেই ঢুকে পড়তো ননদ শাশুড়ি৷ খুব বিরক্ত লাগত৷ প্রতিবাদ করতে পারত না রূপা৷ শুধু একটা ঠাণ্ডা যুদ্ধ চলতো সমীরের সাথে৷ 
বষ্টিটা আরও জোরে নামতে শুরু করল৷ কারেণ্ট নেই৷ রাস্তার আলো নিভে গেছে৷ রাস্তাটা কালো অন্ধকার৷ একটা বড় গাড়ি৷ গাড়ির  আওয়াজ টা শুনে মনে হল পুলিশ গাড়ি৷ একটু ভয় হল রূপার৷ মোবাইলের আলোটা জ্বেলে বেলকনিতে দাঁড়ালো৷ পুলিশ গাড়িটা রাস্তাতে এসে থামলো৷ যে বাড়িটার উপর তার কৌতুহল টা ছিল বরাবর সেই বাড়িতেই পুলিশ ঢুকলো৷ পুলিশের টর্চের আলো আর মোবাইলের আলোতে রূপা দেখল বেশ কিছু লোকের সাথে সেই সুন্দরী সালোয়ার কামিজ পরা মেয়েটি পুলিশ গাড়িতে উঠে পড়লো৷ মেয়েটির চোখে চোখ পড়ল৷ রাস্তার আলো গুলো জ্বলে উঠল৷ মেয়েটির চোখের কোনে জল৷ মেয়েটি চোখ নামাল৷ রূপা আজ কোন ঈশারা করতে পারল না৷
ভোরের আলো ফুটে উঠেছে৷ সমীরের জন্য অপেক্ষা করতে করতে কখন যে রূপা ঘুমিয়ে পড়েছে মনেই নেই৷ হালকা রোদ উঠেছে৷ ওয়েদারটা বেশ মনোরম৷ সমীর এখনো আসে নি৷ মোবাইলটা চেক করে নিল৷ না সমীরের কোন মিসড কল নেই৷ পাপান ঘুমিয়ে৷ স্কুল গাড়িকে ফিরিয়ে দিয়েছে রূপা৷ রান্না ঘর অপরিস্কার৷ চারিদিকে জিনিস ছড়ানো৷ গা টা ম্যাজ ম্যাজ করছে৷ কোন কাজে মন নেই তার৷ রূপাও কোন ফোন করে নি৷ অভিমান হয়েছে৷ একটাও খোঁজ নেয় নি সমীর৷ বাচ্চা টা কে নিয়ে একা আছি! মায়ের কাছে গেলে আমাদের কে ভুলেই যায়৷ এই সব সাত পাঁচ ভাবছিল রূপা৷ পেপার টা ছুঁড়ে দিল পেপারওয়ালা৷ সভ্য ভাবে পেপার টাও দিতে পারে না৷ খালি ছুঁড়ে দেয়৷ আজকাল সব কিছুতেই খুব রাগ হয় তার৷পেপারের পাতা ওল্টাতে লাগল৷ হঠাৎ চোখে পড়ল কালকের ঘটে যাওয়া ঘটনা টা৷
প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করেছিল সুহাসিনি৷সেই প্রেমিক স্বামীই তাকে দিয়ে শুরু করে মধু চক্রের ব্যবসা৷ স্বামী-স্ত্রী সহ আরও কিছু লোককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে৷ পেপার টা আর পড়তে পারল না রূপা৷ মেয়েটার মুখটা মনে পড়ছিল৷ সুহাসিনি নাম টা কোথায় যেন শুনেছে রূপা৷ চেনা গাড়ির আওয়াজ৷ বেলকনিতে দাঁড়িয়ে দেখে সমীর৷ সারা মুখ কাঁচা পাকা দাঁড়ি৷ এই এক রাতেই কতটা বদলে গেছে৷ ক্লান্ত, অবসন্ন৷ মনে হচ্ছে কত রাত ঘুমোই নি৷ ভেবেছিল আজ ঘর ঢুকলেই ঝগড়া করবে৷ কিন্তু এখন আর ইচ্ছে করল না৷ স্নান করে নাও৷ গরম জল বসাল রূপা৷
কিছু খাবে?
না, চা  দাও৷
অন্য দিন হলে রূপা চেঁচিয়ে উঠতো৷ সবসময় শুধু চা আর সিগারেট৷ মদ, গাঁজা কেন বাদ থাকে, সেটাও ধরে নাও৷ কিন্তু আজ কিছু বললো না৷ গরম জলে চিনি আর চা পাতা দিতে দিতে ভাবছিল মেয়েটার কথা৷ এখন সে কি করছে৷ কোথায় আছে! থানাতে৷ পুলিশ কাস্টেডিতে৷

খাবার টেবিলে অনেক দিন পর তিন জন এক সাথে৷ এই কয়েক মাস কাজ,ব্যস্ততা, পারিবারিক সমস্যা, লোন শোধের চিন্তা৷ এই সবের মধ্য দিয়েই কেটে গেছে৷ বিকেলে আবার বৃৃৃৃষ্টি শুরু৷ পেপারটা হাতে নিয়ে রূপা বেলকনিতে৷ পাপান কার্টুন দেখছে৷  রূপার কাঁধে হাত রাখল সমীর৷ অনেক দিন পর একে অপরের কাছা কাছি৷ 
মা কেমন আছে? জ্বর টা ছেড়েছে?
আগের থেকে অনেক টা ভাল৷ চিন্তার কোন কারণ নেই৷
পেপার  টা এগিয়ে দিল সমীরের দিকে৷ দাগ দেওয়া অংশ টা পড়৷ বলল, রূপা৷
ঠোঁটের কোনে একটু আলতো হাসি  নিয়ে এসে সমীর পেপার টা ছুঁড়ে দিল টেবিলে৷ রূপাকে কাছে টেনে নিল৷
রূপা দেখল সমীর কেমন যেন আবেগ প্রবন হয়ে উঠেছে৷ চোখের কোনে জল৷
রূপা, রূপা আবেগে গলা জড়িয়ে আসে সমীরের৷ কাগজে যে মেয়েটিকে নিয়ে লিখেছে সে আমার বোন৷ যে বোন অনেক দিন আগে এক ভুল মানুষের হাত ধরে বাড়ি থেকে পালিয়ে ছিল৷
এখন সে কোথায়? থানাতে বুঝি! উত্তেজিত হয়ে ওঠে রূপা৷
না,না এখন সে বাড়িতে৷ মায়ের কাছে৷ সারা রাত ধরে থানা ,পুলিশ করে শেষ পর্যন্ত একটা উকিল কে ঠিক করে সোনাই এর জামিন হয়৷

কি আশ্চর্য না! সে এত দিন আমাদের চোখের সামনেই ছিল কিন্তু আমরা চিনতে পারি নি৷
তুমি তো আমার বোনকে কোন দিন দেখ নি৷ কিন্তু আমার চোখে যে কেন পড়ল না৷

আর আফশোষ কর না সমীর৷ ভগবান যা করেন হয়তো ভালোর জন্যই৷ আর ওর বর?

ও থানাতেই আছে৷ ওর বিরুদ্ধে কোটে কেস করবো৷ ও আমার বোনকে নিয়ে ব্যবসা করতো রূপা৷ ও আমার বোনকে ঠকিয়েছে৷
রূপা আবার বেলকনিতে দাঁড়ালো৷ বৃৃষ্টিটা আরও জোরে নামল৷ চারিদিক টা কেমন অন্ধকার হয়ে আছে৷ অনেক দিন পর সমীরের মুখে প্রাণ খোলা হাসি দেখল রূপা৷ বষ্টির ঝম ঝম শব্দ বেশ ভাল লাগছিল তার৷ সমীর পাপানের সাথে খেলায় ব্যস্ত৷ বাড়ির পরিবেশ টা আজ অন্য রকম৷ তালা বন্ধ করা সামনের বাড়িটার দিকে চোখ যায় রূপার৷ হঠাৎ একটা অজানা কষ্টে চোখটা ভিজে ওঠে তার৷

1 comments:

Nurul Hoque said...

Something extraordinary