সম্পাদকের কলমে

নারায়ণ দেবনাথ- সত্যি বলতে কি একটা অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি হল। একটা বিশাল বড় অধ্যায়, যেখানে বাবা/ মা, ছেলে/ মেয়ে বা দাদু/দিদা, পিসি, ঠাম্মা সব এক হয়ে গেছিল । চলে গেলেন শরীরের দিক থেকে কিন্তু সারাজীবন রয়ে গেলেন মনে, চোখে আর স্বপ্নে। কার্টুন তাও আবার নিখাদ বাংলা ভাষায়, বাংলা চরিত্র নিয়ে, কিন্তু সেই চরিত্র আবার খুব সাহসী। উনি সাহস দেখিয়েছিলেন বলেই বাংলার ঘরে ঘরে বাঁটুল, হাঁদা-ভোঁদা পৌঁছে গেছে। নারায়ণ দেবনাথ -এর প্রতি #গল্পগুচ্ছ এর পক্ষ থেকে সশ্রদ্ধ প্রণাম । ভাল থাকবেন, যেখনেই থাকবেন। আমরা কিন্তু আপনার দেশেই রয়ে গেলাম । নমস্কার সহ অঙ্কুর রায় সংখ্যার সম্পাদক অভিজিৎ চক্রবর্ত্তী প্রধান সম্পাদক

লেখা পাঠানোর জন্য

আপনার লেখা পাঠান আমাদেরকে
golpoguccha2018@gmail.com

Total Pageviews

By Boca Nakstrya and Gologuccha . Powered by Blogger.

 




 ভৌতিমেরিক 

 অঙ্কুর রায়  


(১)


মানুষ আজ আর যায় না বলা নেই যেহেতু কায়া 

একদিন ঐ মানুষই ছিলাম আজকে শুধুই ছায়া ।

             হঠাৎ করেই তাড়াতাড়ি 

            হল যে শেষ পড়লো দাঁড়ি 

ফেলে আসা জীবনটারই আজও বড় মায়া ।


(২)


সব কাজ হল না শেষ , কত কিছু ছিল বাকি 

জীবনের পাশে পাশে তাই ছায়া হয়েই থাকি ।

            কখনও তুমি ভেবো না একা 

            সূক্ষ্ম বলে পাওনা দেখা

এ ও তো এক জীবন হল , থাকাই হল নাকি ?


(৩)


হানাবাড়ির অন্ধকারে দেই বটে রোজ হানা 

তাই বলে ভরদুপুরেও আসার তো নেই মানা ।

            আসা যাওয়ার কিছুই নেই 

            এই তো আছি , ছিলাম এই ।

আমরা যখন পাশেই থাকি হোক না চেনাজানা ।


(৪)


কায়াহীনদের দেখতে কেমন জানতে চাওয়া বৃথা 

যা খুশি রূপ নিতেই পারি জানোনা কী আর তা ?

            তোমরা মনের ভয়টা দিয়ে 

            আমাদেরকে নাও বানিয়ে 

আমরা বেশিরভাগই নিপাট , থাকি ছায়াবৃতা ।


(৫)


তবে সত্যিই আছে কিছু ভূত ,যারা বেজায় ভৌতিক 

ভয়ঙ্কর সব কাণ্ড করে , নয় কেবলই মৌখিক ।    

            সুযোগ পেলেই দেখায় খেল 

            ভয় পেয়েছো কী হার্টফেল !

রাম নাম করে হয়না কিছু , বাঁচার উপায় বৌদ্ধিক ।


(৬)


কত কিসিমের ভূত আছে , আছে কত দিশি ! 

মামদো , মেছো , স্কন্ধকাটা , ব্রহ্মদৈত্য , নিশি ।

            কেউ থাকে শ্যাওড়া গাছে 

            কেউ শ্মশান বা ঘরের কাছে , 

শাকচুন্নি নাচে কুচিপুড়ি , পেত্নি ওড়িশি ।


(৭)


সেদিন রাতে মরি আরকি ভীষণ ভয়ের চোটে ! 

খাবার পরে বিড়িখানা যেই নিয়েছি ঠোঁটে ,

            দুটো হাত ঐ অন্ধকারে 

            টিপলো গলা , বাপরে মারে !

দপ্ করে দেখি দেশলাই এক হঠাৎ জ্বলে ওঠে ।


5 comments:

Amaresh Biswas said...

চমৎকার ভৌতিমেরিকগুলি। খুব ভালো লাগলো।

Arindam said...

দারুণ লাগল

Unknown said...

খুব সুন্দর লাগলো স্যার।

Unknown said...

ভৌতিমেরিক আমার বেশ ভালো লেগেছে। 2 নম্বর টি বেস্ট।👍

Unknown said...

খুব ভালো লাগল।