সম্পাদকের কলমে

নারায়ণ দেবনাথ- সত্যি বলতে কি একটা অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি হল। একটা বিশাল বড় অধ্যায়, যেখানে বাবা/ মা, ছেলে/ মেয়ে বা দাদু/দিদা, পিসি, ঠাম্মা সব এক হয়ে গেছিল । চলে গেলেন শরীরের দিক থেকে কিন্তু সারাজীবন রয়ে গেলেন মনে, চোখে আর স্বপ্নে। কার্টুন তাও আবার নিখাদ বাংলা ভাষায়, বাংলা চরিত্র নিয়ে, কিন্তু সেই চরিত্র আবার খুব সাহসী। উনি সাহস দেখিয়েছিলেন বলেই বাংলার ঘরে ঘরে বাঁটুল, হাঁদা-ভোঁদা পৌঁছে গেছে। নারায়ণ দেবনাথ -এর প্রতি #গল্পগুচ্ছ এর পক্ষ থেকে সশ্রদ্ধ প্রণাম । ভাল থাকবেন, যেখনেই থাকবেন। আমরা কিন্তু আপনার দেশেই রয়ে গেলাম । নমস্কার সহ অঙ্কুর রায় সংখ্যার সম্পাদক অভিজিৎ চক্রবর্ত্তী প্রধান সম্পাদক

লেখা পাঠানোর জন্য

আপনার লেখা পাঠান আমাদেরকে
golpoguccha2018@gmail.com

Total Pageviews

28,049
By Boca Nakstrya and Gologuccha . Powered by Blogger.

 




ময়না

প্রদীপ ঘটক 

আধো-সন্ধ্যায় আলের ধারে ঘাস কাটছে হারুর বৌ ময়না। জমির জল পেয়ে হিলহিলিয়ে বেড়ে উঠেছে কিছু ঘাস।

ময়না চুলে তেল দিয়েছে, টেনে চুল বেঁধেছে, সিঁথিতে লাল সিঁদুর আর কপালে লাল টিপ,হাঁটুর উপর কাপড়। হাতে চলছে কাস্তে, মুখে গান "দে ফিরাইয়া দে।"

হারুর চারটে গরু, দুটো বাছুর, তিনটে ছাগল। আর ময়নার পাঁচটা হাঁস, তিনটে মুরগি, আর সখের একটা ময়না পাখি। ময়না ময়নার সাথে কথা কয়, হারুকে দেখলে জ্বলে যায়।

সন্ধ্যা বাঁউরে গেছে।গাঁয়ে প্রদীপ জ্বলছে, শাঁখ বাজছে। ময়না ঘাস কাটছে তো কাটছেই। হঠাৎ একটা গঙ্গা ফড়িং ময়নার গায়ে লাফিয়ে পড়ে। ময়না খিলখিলিয়ে ওঠে। গঙ্গা ফড়িং ময়নার গালে বসে, গলায় বসে, বুকে বসে, হাতে বসে, খোলা দামনায় বসে। ময়না ততই কলকলিয়ে ওঠে।

হারু জন খাটে, দিনে খাটে, বিকেলে খাটে, সন্ধ্যায় খাটে, রাতে আর খাটতে পারে না। ময়না ফিরলে ঘাস কুচিয়ে খেয়ে-দেয়ে শোবে। তার আগে পোষা ময়নার খাঁচায় খেতে দিতে হাত ঢোকাতেই ঠুকরে দেয়।

ময়না ফিরতেই রাগ পড়ে তার উপরে "কোথায় ছিলি হারামজাদি মাগি?" বলেই ঘা কতক ধরিয়ে দেয়। ময়নার মুখের বাখান আরম্ভ হয়। এ তাদের নিত্যদিনের ঘটনা। খাঁচার ময়না ক্যাঁক ক্যাঁক করে।

রাতে আর ভাতের হাঁড়ি চড়ে না। সকালে হারু দেখে খাঁচায় ময়না নেই।



0 comments: