সম্পাদকের কলমে
লেখা পাঠানোর জন্য
Total Pageviews
প্রেমের গল্পটা
ছোটন গুপ্ত
সবাইকে বলে দিস, আমি আজ ভালো আছি। খেলতে যাবো না। সাইকেল নিয়ে ছুট ছুট সেই নদীতীরে বালিচরে জেগে থাক দু একটা কথা। তুই চলে এলে কল্পনা ডানা মেলে চলে যাওয়া ফুল পাখি স্বপ্নের দেশে।
ধুর ধুর, কি যে সব আলফাল ছবি! সত্যি না ওরা, গল্পরা যতোসব ভুলভাল সহ। নদীতে একলা একা
জল দেখে চলে যাওয়া বিগত বিকেলে। তুই আসবি না জানি, জানা ছিল খেয়াহীন বিকেলের ছাইরঙে, বলে গেলো, ডুবে যেতে যেতে পশ্চিমে রক্তিম রবি।
প্রেমিক এক কিশোরের চোখে চোখ রেখে কিশোরীর ছায়া, বলেছিল,
-এত ঘ্যাম কেন ? তুই কি রে অনিমেষ মায়া !
হাজার আলোর দিশা মেখে সে প্রথম আঁকা জলছবি। ও মেয়ে তো বড়োই মুখরা, কি চায় সে, স্বপ্নের কবি !
সেই ছবি নদীর ছায়ায় লিখে যাওয়া কবিতা খাতায়। আসবে কি আসবে না তাও তো অজানা। আলগা বৃষ্টি শুধু টুপটাপ ভিজে চলে সে বালির চরে। মগ্নতা ঢেকে দেয় বিষাদের লিপি তার কবিতার ঘরে।
ভিতরের কথালাপ বাইরের হাসি। ফিচেলের চোরা চোখে বাজে কোন কানাইয়ের বাঁশি। হৃদয়ে মাদল বাজে দু চোখে আকাশ সাজে গল্পটা বিনা কাজে
চলে যাবে, না হওয়ার সান্ধ্য সমীপে। কেউ আসবে না বলে, গল্পটা ঢাকা থাক মেঘছায়া বৃষ্টির দ্বীপে।
স্মৃতি হাতড়ানো ছবি পাশাপাশি আনা যায় না, তা সকলের জানা। তবুও কথার কথা তবুও গল্প যতো লিখে যাওয়া নিয়মের ফেরে। সেই মেয়ে জলে ভিজে দেরি করে আসে নদীতীরে। তারপর কতো কথা চুপচাপ অভিমান মুছে লিখে যায় নতুন এক স্বপ্নের এলোমেলো রূপকথা ছবি। ভালোবাসা আশা নিয়ে ভাষা নিয়ে বুনে যায় নকশিকাঁথার মনভাষা। তুই কি আছিস আর গল্পের প্রথম পাঠক ! মেঘ কেটে রাত আকাশে চন্দ্রিম আলোভাসে জেগে আছে চরাচরে প্রথম প্রেমের সেই ছবি।
এখন নদীর কাছে গেলে পাখিরা রঙিন ডানা মেলে উড়ে যায় উড়ে যায় দূরে। গল্পের শব্দরা পড়ে থাকে মাঘ শেষে দিনে রোদ্দুরে। কবি খোঁজে হারানো স্মৃতিকে। কবি খোঁজে অচেনা রীতিতে। ইদানিং ক্যালেন্ডারের দিন মেনে প্রেম আসে ভালোবাসা আসে। বাকি সব দিনগুলো বেহায়ার ধুলো মেখে চলে যায় ঘুমের নিবাসে। প্রেমের গল্প থাকে কাদামাখা লেপটানো ঘাসে।
2 comments:
গল্প অথচ কবিতার ছাঁচে ঢালা, নতুনত্বের আলো।
ভালোবাসা অনিঃশেষ প্রিয় কবি।
Post a Comment