সম্পাদকের কলমে

নারায়ণ দেবনাথ- সত্যি বলতে কি একটা অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি হল। একটা বিশাল বড় অধ্যায়, যেখানে বাবা/ মা, ছেলে/ মেয়ে বা দাদু/দিদা, পিসি, ঠাম্মা সব এক হয়ে গেছিল । চলে গেলেন শরীরের দিক থেকে কিন্তু সারাজীবন রয়ে গেলেন মনে, চোখে আর স্বপ্নে। কার্টুন তাও আবার নিখাদ বাংলা ভাষায়, বাংলা চরিত্র নিয়ে, কিন্তু সেই চরিত্র আবার খুব সাহসী। উনি সাহস দেখিয়েছিলেন বলেই বাংলার ঘরে ঘরে বাঁটুল, হাঁদা-ভোঁদা পৌঁছে গেছে। নারায়ণ দেবনাথ -এর প্রতি #গল্পগুচ্ছ এর পক্ষ থেকে সশ্রদ্ধ প্রণাম । ভাল থাকবেন, যেখনেই থাকবেন। আমরা কিন্তু আপনার দেশেই রয়ে গেলাম । নমস্কার সহ অঙ্কুর রায় সংখ্যার সম্পাদক অভিজিৎ চক্রবর্ত্তী প্রধান সম্পাদক

লেখা পাঠানোর জন্য

আপনার লেখা পাঠান আমাদেরকে
golpoguccha2018@gmail.com

Total Pageviews

By Boca Nakstrya and Gologuccha . Powered by Blogger.

 আমার পুজো


 অঙ্কুর রায় 

পুজোর ছুটি খোলার পর প্রথম ক্লাসে এসে
বাংলা স্যার ডেকে বললেন একটুখানি হেসে -
' '' আমার পুজো '' এই নিয়ে এক রচনা লেখ দেখি ,
চটপট সব লিখে ফেল পুজোয় করলি কী কী !
যারটা হবে সবার সেরা সে পাবে পুরস্কার -
ছবি দিয়ে সাজানো বই , একটা দারুণ ছড়ার । '

পুরস্কারের লোভে সবাই লিখছে এক মনে ,
ফার্স্ট বেঞ্চে বসে সতু , রামু , লাস্ট বেঞ্চের কোণে।
মিনিট কুড়ি পরে সবার লেখা যখন শেষ ,
একেকটা খাতা দেখেন ,আর বলেন ' ভালো ! বেশ !'
রামুর খাতা হাতে নিয়েই কপালে স্যারের ভাঁজ --
' দশমীতে পুজোর শুরু ? জানতে পারলাম আজ ! '

রামু বললো - ' দশমীতে বিসর্জনের পরে ,
ঢাক বাজানোর টাকা নিয়ে বাবা ফেরে ঘরে ।
আমার জামা , মায়ের শাড়ি চেয়েচিন্তে আনে ,
আমার পুজোর শুরু তখন বিসর্জনের দিনে ! '
সজল চোখে বলেন স্যার রামুকে টেনে বুকে --
'পুজোও যে হয় আমার তোমার শিখলাম তোর থেকে ! '

0 comments: