সম্পাদকের কলমে

নারায়ণ দেবনাথ- সত্যি বলতে কি একটা অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি হল। একটা বিশাল বড় অধ্যায়, যেখানে বাবা/ মা, ছেলে/ মেয়ে বা দাদু/দিদা, পিসি, ঠাম্মা সব এক হয়ে গেছিল । চলে গেলেন শরীরের দিক থেকে কিন্তু সারাজীবন রয়ে গেলেন মনে, চোখে আর স্বপ্নে। কার্টুন তাও আবার নিখাদ বাংলা ভাষায়, বাংলা চরিত্র নিয়ে, কিন্তু সেই চরিত্র আবার খুব সাহসী। উনি সাহস দেখিয়েছিলেন বলেই বাংলার ঘরে ঘরে বাঁটুল, হাঁদা-ভোঁদা পৌঁছে গেছে। নারায়ণ দেবনাথ -এর প্রতি #গল্পগুচ্ছ এর পক্ষ থেকে সশ্রদ্ধ প্রণাম । ভাল থাকবেন, যেখনেই থাকবেন। আমরা কিন্তু আপনার দেশেই রয়ে গেলাম । নমস্কার সহ অঙ্কুর রায় সংখ্যার সম্পাদক অভিজিৎ চক্রবর্ত্তী প্রধান সম্পাদক

লেখা পাঠানোর জন্য

আপনার লেখা পাঠান আমাদেরকে
golpoguccha2018@gmail.com

Total Pageviews

28,049
By Boca Nakstrya and Gologuccha . Powered by Blogger.

 

নিউরোসিস  

সাগরিকা  বিশ্বাস

বছর ফুরোয়নি। ফুরিয়েছে কিছুটা অতীত-স্থায়িত্ব। প্রবাহের কোষাগার থেকে নিজের সাময়িক মূল্যবদলের ইচ্ছে। যেন কোথাও কোনো গতিরোধক বিষয় নেই। সংস্কৃত থেকে ব্রজবুলী ভাষান্তরের মত অনিবার্য এক প্রয়োজনী। অন্তর্নিহিত  ভাঙ্গচুরগুলোকে স্থাপত্য ও বিন্যাসের নামে যাপন করি, অথচ ভুলে যাই চিরকালীন ধ্যান ও ধ্বনি। আসলে এক ধরনের নিরাপত্তাবোধ, ক্রমশ ফুরিয়ে আসার, ক্রমশ আঁজলা গড়িয়ে তলানি পড়ে থাকবার। এই ক্রমবিবর্তিত নিঃশেষ হয়ে যাওয়া থেকেই জন্ম নিচ্ছে প্রবৃত্তির গাঢ় অসহায়তা। সঞ্চারিত জটিল থেকে ছুটে আসছে অতিথি নদীবাঁক। 
আমরা কাঁচের বাক্স বানাই; দূর থেকে ছোঁড়া পাথরকে জলের ঝাপটা ভেবে ভুল করি। প্রতিবিম্বে স্পষ্ট হয় অজস্র ফাটল। ঈশ্বরপরবর্তী কোন এক আমি যখন নর্দমার কাদা মেখে হেঁটে যায়, মনে হয় যবনিকাজীবন এখানেই শেষ হল। 
বছর আসছে ! লালকালো ছকের কাটাকুটি নকশা আঁকতে আঁকতে ! জরিপকর্তারা, তারা বোঝেনি কম্পাঙ্কে কেবল রিখটারের স্বাক্ষর থাকেনা। মোহের এই ইথারবিশ্ব স্নায়ুকাম চেনে। কবেই বা জেনেছে মধুমতীর স্রোতের পাশে খইবাবলা গাছে পেকে ওঠা পূর্বসূরির কোলাহল! অনভিজ্ঞ দৃশ্যান্তরের উপরে মর্মাহত কালবেদ অষ্টাদশীর বুক ছুঁয়ে হাতের রেখা আঁকল, সেদিন আমিও আমার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে হালের আগায় বসিয়েছি পাঁচটি স্বয়ংক্রিয় মাংসপিণ্ড ! নির্দেশের অকালবোধন কায়াকল্প দিয়েছে গন্তব্যে। নিউরোসিস ফ্রাঁসোয়া, একান্ত এইসব লিরিকে তুমিই ক্রমশ অশরীরী, তোমাতেই জন্ম দিয়েছি প্রিয়তম এক হিমঘর !



0 comments: