সম্পাদকের কলমে
লেখা পাঠানোর জন্য
Total Pageviews
অন্নপূর্ণা মা
অজিতা মিত্র
আমার মায়ের রান্না খেয়েছে বাবার বন্ধু যত,
এরপর আছে সহকর্মীরা, যারা বন্ধুর মতো!
নিমন্ত্রিত বা অনাহুতরাও পেয়েছে অমৃত স্বাদ!
পাড়া প্রতিবেশী, ক্ষুধিত ভিখারি কেই-বা গিয়েছে বাদ!
মৃদু হাসি মুখে রান্না করে মা গরম খাবার দেন,
অতিথিরা যেন তৃপ্তির সাথে পেট ভরে খেয়ে নেন।
আমাদের কত বন্ধু এসেছে সময়ে বা অসময়ে,
মায়ের হাতের খাবার তারাও খেয়েছে অসংশয়ে।
লুচি নাড়ু হতো রাশি রাশি যেন, হিসেব ছিল না জানা,
যে যতই খাও, আরও আছে মেলা, নিয়ে যেতে নেই মানা!
কতো রকমের পিঠা পুলি হতো, যাবে না তা গুণে বলা,
বিশাল হাঁড়িতে কোর্মা, পোলাওয়ে পুরো হতো ষোলকলা।
এভাবেই গেছে বছর বছর, মায়ের রান্না খেয়ে,
কব্জি ডুবিয়ে উদর পুরিয়ে মা'র গুণগান গেয়ে!
কিন্তু দেখিনি এক বেলা কেউ মায়ের জন্য রাঁধে,
দেখিনি কখনও মাকে ডেকে নিয়ে আদরে যত্নে বাঁধে!
ভাবখানা এই, রান্না করাই আমার মায়ের কাজ,
আয়েশে ঘুমিয়ে থাকলে সবার মাথায় পড়বে বাজ!
বেড়াতে গেলেও মা'র ডাক পড়ে সেই উনুনের পাশে,
কেউ কি দিয়েছে এক কাপ চা-ও মায়ের ক্লান্তি নাশে?
মায়ের শরীর, শরীর তো নয়, লোহা লক্কড়ে গড়া,
সকলের সেবা করে যাবে শুধু, নেই তার ব্যাধি জরা!
নেই কোনো ছুটি, আহার, বিহার, নেই কোনো বিলাসিতা,
দুঃখ ঝরাতে সুযোগ পেলে সে পড়ে নেবে প্রিয় গীতা!
ত্যাগ ত্যাগ ত্যাগ, ত্যাগ-ই মায়ের একটি মাত্র ব্রত,
আর সব লোকে ভোগ করে গেল, মা ছিল মাটির মত।
1 comments:
জীবনের গল্প ❤️ আমাদের মায়েদের জীবন এমনিই কেটেছে। ছোটবেলায় দেখেছি আর ভেবেছি, এরকম হবো না কখনও। তবুও কি খুব অন্যরকম হতে পেরেছি!?
Post a Comment