সম্পাদকের কলমে
নারায়ণ দেবনাথ-
সত্যি বলতে কি একটা অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি হল। একটা বিশাল বড় অধ্যায়, যেখানে বাবা/ মা, ছেলে/ মেয়ে বা দাদু/দিদা, পিসি, ঠাম্মা সব এক হয়ে গেছিল । চলে গেলেন শরীরের দিক থেকে কিন্তু সারাজীবন রয়ে গেলেন মনে, চোখে আর স্বপ্নে। কার্টুন তাও আবার নিখাদ বাংলা ভাষায়, বাংলা চরিত্র নিয়ে, কিন্তু সেই চরিত্র আবার খুব সাহসী। উনি সাহস দেখিয়েছিলেন বলেই বাংলার ঘরে ঘরে বাঁটুল, হাঁদা-ভোঁদা পৌঁছে গেছে। নারায়ণ দেবনাথ -এর প্রতি #গল্পগুচ্ছ এর পক্ষ থেকে সশ্রদ্ধ প্রণাম ।
ভাল থাকবেন, যেখনেই থাকবেন। আমরা কিন্তু আপনার দেশেই রয়ে গেলাম ।
নমস্কার সহ
অঙ্কুর রায়
সংখ্যার সম্পাদক
অভিজিৎ চক্রবর্ত্তী
প্রধান সম্পাদক
লেখা পাঠানোর জন্য
আপনার লেখা পাঠান আমাদেরকে
golpoguccha2018@gmail.com
Total Pageviews
28,047
By Boca Nakstrya and Gologuccha . Powered by Blogger.
গুরাসের মায়ামাখা গ্রাম ধোত্রে
সৌমী আচার্য্য
দুপুরবেলা সবাই তখন ঘুমাচ্ছে,বিশ্রাম নিচ্ছে।পাইনগাছগুলো আকাশে মাথা তুলে নাম না জানা পাখিদের সাথে গভীর আলাপে মত্ত।বৃষ্টি স্নানের পর কালো পিচ রাস্তা কচি সবুজ স্ট্রবেরি গাছের গয়নায় সেজে নিজেকে বিছিয়ে রেখেছে যে পাহাড়ি পথে সেই পথে আমি তখন একা।হাতে একটা বাঁশের লাঠি।টুকটুক করে হেঁটে বাজারের কাছে পৌঁছে গিয়েছি।স্হানীয় মানুষেরা হাট থেকে সব্জী কিনতে ব্যস্ত।তাদেরই একজন কে জিজ্ঞাসা করলাম ঐ যে মন্দিরটা দেখা যাচ্ছে কী করে যাব?সে হাসি মুখে দেখিয়ে দিল বাড়িঘরের ভেতর দিয়েই সিঁড়ি উঠে গিয়েছে।কিছুটা সংকোচে এগিয়ে চললাম ওদের একান্ত ঘর গেরোস্থালির মধ্যে দিয়ে।কেউ টবলু টবলু লাললঙ্কা জারে ভরছে নুন,ভিনিগার সহযোগে।কেউ বা জামাকাপড় কেচে শুকাতে দিচ্ছে।আমি ছোট্ট শিব মন্দিরের চাতালে বসে দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকা সবুজ পাহাড় ঘেরা ধোত্রে দেখতে লাগলাম।আমার চোখে জল ছাপিয়ে আসছে।এই সুন্দর প্রকৃতি ছেড়ে এই পাহাড়,পাইনঘেরা পথ সব ছেড়ে আগামীকাল চলে যেতে হবে?মনে পড়ছে এই তো মাস চারেক আগে একদিন ঠিক হল বাবা মাকে নিয়ে আমরা দুইবোন ধোত্রে আসব।
ধোত্রে যাবার উদ্দেশ্যে নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছে দেখি জল থৈ থৈ ট্যাক্সি স্ট্যাণ্ড।তারমধ্যেই এসে পৌঁছলেন আমাদের মহা রসিক সারথি।বাঁধাছাঁদা শেষ জয়ত্তারা বলে টাটাসুমো ছুটল।একিএকি দাদভাই ক্লাব ছাড়িয়েই গাড়ি দিয়ে যে ধোঁয়া বেরুচ্ছে।লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে নেমে ধাঁ।ওমা খানিক দৌড়ে হাঁপিয়ে দুই ছেলে (মানে একটা আমার একটা বোনের)নিয়ে যেই সদ্য খোলা দোকানটার সামনে দাঁড়িয়ে কিছুমিছু কিনব ভাবছি ওমনি হাঁক,চলে আয় তাড়াতাড়ি, এই বয়েসেও এত লাফাস কেন?কে রে কে বয়েস তুলে খোঁটা দেয়?সবাই চুপ।আমিও।চোখ তখন কেবল দুদিকের ছুটে চলা পথের দুধারে।পথেই পড়ল সুখনা ফরেস্ট।কী যে অপূর্ব তার সবুজ জরিপাড়ের শাড়ি পরা রূপ তা কী করে বোঝাই?ঘন জঙ্গলের ভেতর দিয়ে এঁকেবেঁকে চলেছে পথ,নাম না জানা ফুলের সমারোহ।নেমেই পড়লাম সকলে মিলে।ছবিছাবা তোলা প্রায় শেষ।অমনি ধমক,আপলোগ উতরে কিঁউ পাতা নেহি ইয়ে এলিফ্যান্ট করিডর হ্যায়।যাইয়ে গাড়ি মে চর যাইয়ে।বাবা গো মা গো বলে টাটাসুমোর দরজা গলে,সিটে বসে তবে ধড়ে প্রাণ আসল।
পথের সামনে সবুজ পাহাড় যেন পথ আগলে দাঁড়িয়ে আছে,এবড়ো খেবড়ো রাস্তার কষ্ট বিন্দুমাত্র অনুভব করছিনা যেন কেউই।পথ কখন আমাদের ঐ সুমহান পাহাড়ের পায়ের কাছে পৌঁছে দেবে সেই আকাঙ্খায় চেয়ে আছি।অধরা রয়ে যায় সে,আমরা ডানে বেঁকে এসে পৌঁছাই ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম রোহিনীতে।এক ছোট্ট হোটেলের তিনতলার ছাদে চিকেন মোমো নরম গরম রুটি, স্কোয়াশের তরকারি, আচার আর কফি দিয়ে প্রাতঃরাশ।ভালোলাগার ছোট্ট এক টুকরো রোহিনীতে রেখে এগিয়ে গেলাম মানেভঞ্জনের পথে।মানেভঞ্জনে পৌঁছাতেই বৃষ্টি শুরু হল।মাত্র পাঁচমাস আগে অক্টোবরে এই মানে ভঞ্জনেই প্রবল বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে ছিলাম টংলু যাবার অপেক্ষায়।আজ আবার সেই বৃষ্টি।এখানে আমাদের গাড়ি পরিবর্তন করতে হবে।কারণ ঐ অক্টোবরের প্রবল বৃষ্টিতে ধস নেমে রাস্তা নষ্ট হয়ে গিয়েছে।এখনো খোলেনি।কিন্তু পৌঁছে দেখি সেইদিনই অর্থাৎ পয়লা এপ্রিলেই রাস্তা খোলা হয়েছে।তবু গাড়ি বদলাতে হল কারণ আমাদের হোমস্টে পদ্মা লজ থেকে গাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে।
এবার শুরু রডোড্রেনড্রন পথে যাত্রা।বৃষ্টিভেজা,ভালোমন্দ মেশানো রাস্তা আর পথের ধারে ছড়িয়ে থাকা লাল,গোলাপি গুরাস।এলেম নতুন দেশে।বৃষ্টি মেঘ যতই মন ভারাক্রান্ত করুক না কেন দুচোখ মেলে দিলাম।অবশেষে দুপুর আড়াইটার সময় পৌঁছলাম আমাদের হোমস্টের সামনে।হাসিমুখে স্বাগত জানাল হোমস্টেতে কর্মরত মানুষেরা।খুব বিনীত ভাবে বলল,খানা খা লিজিয়ে।দোতলার পাশাপাশি তিনটি ঘরে আমরা লাগেজ রেখে গরম জলের সন্ধান করতেই দেখি উঠোনে বিশাল ডেকচিতে জল গরম হচ্ছে,পাইন কাঠ নিজেকে পুড়িয়ে উত্তাপ সৃষ্টি করছে আমাদের জন্য।ছাদে দৌড়ে গেলাম না দেখা নেই কাঞ্চনজঙ্ঘার কেবল মেঘ অথচ এখান থেকে খুব সুন্দর ভিউ পাওয়া যায় স্লিপিং বুদ্ধার।ভারাক্রান্ত মনে হাত পা ধুয়ে সুন্দর সাজানো ছোট্ট ডাইনিং এ কাঁসার থালা বাটি চামচে ধোঁয়াওঠা কুন্দসনিভ ভাত,ঘন ডাল,আলুভাজা,পাঁপর ভাজা আর ডিমের ঝোল দিয়ে ভাত খেয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুললাম।হাসিমুখের সুন্দরী মালকিন পদ্মাবহেন জেনে নিলেন রাতে কারা রুটি আর কারা ভাত।
থাকব নাকো বদ্ধ ঘরে তাই পায়ে হেঁটে আবিস্কার করতে বেরোলাম ধোত্রে।বাবা মা একটু রেস্ট নিতে ঘরেই থেকে গেলেন।হোমস্টে থেকে বাঁদিকে ছোট্ট জনপদ আর ডানদিকে জঙ্গলের ভেতর দিয়ে পিচরাস্তা গিয়েছে শ্রীখোলার দিকে।আমরা আজ বস্তির দিকেই হেঁটে চললাম।কখনো রাস্তা ঢালু দিয়ে গড়িয়েছে নীচে কখনো উদ্ধত হয়ে মাথা তুলেছে।ছোটছোট ছেলেরা ফুটবল খেলছে তরঙ্গায়িত বাজারের বুকে।আমার কর্তা মেতে উঠলেন ওদের সাথে খেলায়।খানিকপর দুই ছেলে ও বোনের বর যোগ দিল।হৈচৈ রবে শান্ত বাজার জেগে উঠল।ওদের হাসিআলো মাখা মুখ পুঁজি করে পৌঁছে গেলাম একটু নীচের দিকে যেখানে গুটিসুটি দিয়ে বিশ পঁচিশটা কাঠের বাড়ি মায়ায় রেখেছে স্বর্গের দুই অপ্সরীকে।এই দুই অপ্সরী দুটি আসলে দুটি ছোটো ফুলেল গোলাপি গুরাস।ফুলের ভারে সলজ্জ।রাত নেমে এল দ্রুত।আমরা লিমাদিদির দোকানে কফি পান করতে করতে দোকানের ভেতর বাজতে থাকা গানের তালে পা মেলালাম।এক অনবদ্য আনন্দে ভরে উঠল মন কিন্তু পাহাড়ে রাত নামে দ্রুত তাই এবার হোটেলে ফেরার পালা।ঘন অন্ধকার হাত নেড়ে ডাকছে আমাদের।পাহাড়ের অপর পাড়ে তখন আলোরমালা।তিনতলার বারান্দায় বসে ঝিঁঝিঁর ডাক শুনছি মগ্ন হয়ে।আশেপাশে ভীড় জমিয়ে এল কত কথা,স্মৃতি।
পরদিন ভোর পাঁচটা থেকে জানলা খুলে কেবলি উঁকি দিচ্ছি এই বুঝি তার দেখা মেলে কিন্তু আকাশের সব আবেগ পুঞ্জীভূত হয়ে রয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘার কাছেই।অথচ চারিদিকে ভোরের প্রথম আলো ফুটিফুটি করছে। নাম না জানা পাখিদের কলোরবে মেতে উঠেছে ছোট্ট ধোত্রে। সত্যি বলতে এ যেন হিমাচলের কোনো গ্রাম তেমনি রূপ, রঙ। নীচের কিচেনে পদ্মা বহেনকে জোর তাড়া দিয়ে এলাম। আমাদের একটু যা হোক ব্রেকফাস্ট যেন দেয় আজ আমরা ধোত্রের পথে হাঁটতে হাঁটতে বন পেরিয়ে পাহাড় ডিঙিয়ে টংলু যাব। মনে একটু আশঙ্কা ছিল বাবা প্রায় সত্তরের সীমায় আর মা ষাট পেরিয়েছে পারবে কি শেষ পর্যন্ত। ঠিক করাই ছিল গড়িয়ে গড়িয়ে যতদূর পারি যাব। রাস্তা বেশি নয় স্হানীয় মানুষেরা বললেন পাঁচ পরে জানলাম প্রায় ছয়।
কিন্তু এই পথে না এলে জানতেই পারতাম না গুরাসের রূপ, রঙ কতটা সীমাহীন। ধোত্রেকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেলাম সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ। পাইনের বন বাঁদিকে প্রাচীরের মতো সাথে সাথে চলেছে আর ডানে পাহাড়। আমরা কোনো গাইড নিইনি আমার কর্তার উপর ভরসা করেই আমরা এগিয়ে গেলাম। সবার কাছে ছোট ব্যাগ তাতে জলের বোতল, লজেন্স আর ছাতা, রেনকোট। আকাশ বড় খামখেয়ালি যে। কিছুটা চলার পর বেশ বড়ো মাঠ পেলাম সাথে একটা ছোট প্রাইমারি স্কুল। এরপরেই শুরু ঘন বনের পথ। এখন দু'ধারে কেবলি গুরাসের মানে রডোড্রেনড্রনের জঙ্গল সাথে পাইন, বাঁশ আর আরো কত মহামহীমেরা দাঁড়িয়ে আছে। তাদের গায়ে শতাব্দী প্রাচীন শ্যাওলা। পথে বিছিয়ে রয়েছে লালগুরাস। কী করে মাড়িয়ে যাব এই স্বর্গীয় ফুল! শুধু মুগ্ধ হয়ে দেখছি আর ভাবছি সার্থক আমার মানব জীবন। পথে পরিচিত হলাম আশির কাছাকাছি বয়েসী মাসিমা মেসোমশাইয়ের সাথে। ট্রেকিং তাদের নেশা। ভারী আপন করে নিলেন। চলতে চলতে হঠাৎ বেশ খানিকটা ওপেন জায়গা মানে বন যেন হঠাৎ দূরে সরে গেছে খোলা আকাশকে নেমে আসতে দিয়েছে এই অনিন্দ্য সুন্দর ভূমিতে। আমার রাশভারী বাবা কেঁদে ফেললেন। আনন্দে দুহাত তুলে আবেগে চিৎকার করছেন। করবেন না কেন? চারিদিক লালে লাল, গোলাপিতে গোলাপি। মেয়েরা এমন সুন্দরের কাছে এনেছে বলে সে কী আনন্দ তার। এভাবেই আনন্দ অভিজ্ঞতার কথা বলতে বলতে চললাম আমরা। পথে বৃষ্টি এল আমরা রেনকোট পরে বৃষ্টির কনসার্টে কান পেতে হাঁটলাম। ভিডিও গেম প্রিয় দুই ছেলেও তখন প্রকৃতিতে মুগ্ধ। আমরা তখন পাহাড়ের বেশ মাথার কাছে হঠাৎ সব মেঘ ম্যাজিকের মতো সরে গেল। নীচে বিস্তৃত ভ্যালি।যেন মনে হচ্ছে রঙিন আলপনা।ঐ ভ্যালি দিয়ে হেঁটে আসছে মা বাবাকে নিয়ে পীযূষ। আমার মনটা কেমন যেন করে উঠলো।এখনি মেঘ এসে যদি সব ঢেকে দেয়। চিৎকার করে ওদের বললাম একটু তাড়াতাড়ি আসতে।এই দৃশ্য বিরল।যে শিল্পী এমন ক্যানভাস এঁকেছেন তাঁকে প্রণাম জানালাম মনে মনে।শেষের পাঁচশো মিটার বড্ড চড়াই।সবার আগে টংলু ছুলাম আমি বোন আর বোনের বর।আমার কর্তা বাবা মাকে কখনো একা ছাড়েনি।সে যে আমাদের গাইড।তাই তারা সবশেষে পৌঁছলেন মুখে অপার আনন্দের রেশ।
মাত্র পাঁচমাস আগে টংলুতে রাজু কা ঘরে রাত কাটিয়ে গিয়েছি। গেলাম ওদের কাছে। সবাই বড়ো ক্লান্ত। দেখেই চিনতে পারলো। হাসিমুখে আপ্যায়ন করলো। অসাধারণ কফি বানায় ওরা। আর গরম গরম ডিম ম্যাগী। মন প্রাণ চাঙ্গা হয়ে উঠল। ফেরার সময় বৃষ্টির গতি দেখে সান্দাকফু থেকে খালি নেমে আসা দুটো গাড়ি ভাড়া করে মানেভঞ্জন ফিরলাম। সেখান থেকে গাড়ি পাল্টে ধোত্রে। রাতে সেই আলোর মালা, পাইনকাঠের পোড়া গন্ধ আর অনেক গল্প।
এইসব ছেড়ে কাল চলে যাব ভেবেই খুব কান্না পেল। শিব মন্দির থেকে নেমে এলাম ধীরে ধীরে। ঐ যে দেখা দিয়েছেন তিনি। প্রিয় কাঞ্চনজঙ্ঘা। আর কী চাই! আরো একবার ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখি এই আদুরে গ্রামটার পথ। জড়িয়ে ধরি পাহাড়, ওর বুকে মুখ লুকিয়ে বলি, ভালোবাসি ভালোবাসি।
কিছু তথ্য:
১)ধোত্রে সান্দাকফু রুটের পরিচিত গ্রাম। এখান থেকে বহু ট্রেকরুট যেমন টংলু, টুমলিং সহ সান্দাকফু, বা শ্রীখোলা হয়ে সান্দাকফুর পথে যেকেউ যেতে পারেন বা গাড়িতেও পুরোটা ঘুরতে পারেন।গাড়ি আগে থেকে বুক করলে Dawa জির সাথে কথা বলতে পারেন,বড্ড ভালো মানুষ। উনি নিজে না আসতে পারলেও ভালো গাড়িই দেন।ওনার নম্বর দিলাম:+917407616130
এছাড়া njp বা বাসস্ট্যাণ্ড থেকে শেয়ার জিপ বা রিজার্ভড গাড়িতে মানেভঞ্জন এসে ধোত্রে যাবার গাড়ি নিতে হবে।
২)ধোত্রেতে কিন্তু মটন পাওয়া যায় না।সুতরাং কষ্ট করে চিকেন,ডিম খেতে হবে।
৩)যারা সোমরস পছন্দ করেন হানিবি বা গুরাসের তৈরী স্হানীয় ইসে ট্রাই করতে পারেন, শুনেছি ভালো।
৪)অবশ্যই পদ্মা লজে থাকবেন। ওরা রাতে চিকেন যাচাই খাওয়ায়। আরে না তার জন্য না। পরিসেবা ও ব্যবহার অসাধারণ।ফোন নম্বর দিচ্ছি +918768873121
৫)অন্তত একটা গোটা দিন ধোত্রেতে পায়ে হেঁটে ঘুরবেন। ভীষণ সুন্দর গ্রাম। বনদপ্তরের জায়গাটা এত ভালো যে আমার আরেকবার হানিমুনে যাবার ইচ্ছে আছে।
৬)মার্চ এপ্রিলে ওয়াচ টাওয়ারে বড্ড শুঁয়োপোকা সাবধানে যাবেন।
Subscribe to:
Posts (Atom)
0 comments:
Post a Comment